ইসলামের সঙ্গে কুফর ও শিরকের পার্থক্য


প্রকাশিত: ০৭:০৪ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মানুষকে পরিপূর্ণ ঈমানদার মুসলমান হতে হলে অবশ্যই ইসলাম, কুফর ও শিরকের ব্যাপারে স্বচ্ছ জ্ঞান থাকা জরুরি। সংক্ষেপে ইসলাম, কুফর ও শিরকের পার্থক্য তুলে ধরা হলো-

ইসলাম
ইসলাম শব্দটির অর্থ হচ্ছে আত্মসমপর্ণ করা। মেনে নেয়া। যখনেই কোনো কাজ মেনে নেয়া হয় সেখানেই শান্তি বিরাজ করে। মেনে নেয়ার দিক থেকে ইসলামের একটি অর্থ হচ্ছে শান্তি।

সুতরাং তাওহীদের (একত্ববাদে বিশ্বাসী হয়ে) সাথে একমাত্র আল্লাহর জন্য আত্মসমপর্ণ করা, ইবাদাতের মাধ্যমে তাঁর আনুগত্য করা এবং মুশরিক ও কাফিরদের সঙ্গে সম্পূন্নভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করা। অতএব, যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহর জন্য আত্মসমর্পণ করবে সে মুসলিম।

শিরক
বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর সঙ্গে তাঁর কাজে, নামে ও গুণাবলীতে এবং বান্দার ইবাদাতে অন্য কাউকে শরিক করে তাঁর মর্যাদাকে ছোট করে দেয়ার নাম শিরক। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর পাশাপাশি অন্যের কাছে আত্মসমর্পণ করবে সে মুশরিক।

কুফর
বিশ্বজাহানের প্রতিপালক মহান আল্লাহ তাআলাকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করাকে কুফর বলা হয়। অর্থাৎ যে ব্যক্তি শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য আত্মসমর্পণ করবে না সে ব্যক্তিই অহংকারী কাফের।

পরিশেষে...
কুফরি শিরকের চেয়ে বেশি মারাত্মক। কারণ শিরকের দ্বারা আল্লাহর শরিক সাব্যস্ত করা হয়। আর কুফরির দ্বারা আল্লাহকে অস্বীকার করা হয়। শিরক এবং কুফরি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। কুফরি এবং শিরক থেকে মুক্তি লাভের একমাত্র পথ হলো- বিনা শর্তে আল্লাহ তাআলাকে সমস্ত ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিপতি বলে বিশ্বাস করার পাশাপাশি বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শেষ নবি ও রাসুল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করে আল্লাহর বিধি-বিধানকে কর্মে বাস্তবায়ন করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরক এবং কুফরি বিশ্বাস থেকে হিফাজত করে সঠিক পথের উপর থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।