ঘুমানোর সময়ের জিকির


প্রকাশিত: ০৫:২৪ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আল্লাহ তাআলা দিনকে করেছেন হালাল রুটি-রুজি অর্জনের মাধ্যম এবং রাতকে করেছেন প্রশান্তি লাভের মাধ্যম। মানুষ সাধারণত রাতের বেলা ঘুমায়। এ ঘুমও আল্লাহর ইবাদাতে পরিণত হয়। সে জন্য প্রয়োজন হিকমাত গ্রহণ করা। এ জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের ঘুমের সময়ের জন্য তাসবিহ ও তাকবির পড়তে নির্দেশনা দিয়েছেন। হাদিসটি তুলে ধরা হলো-

Zikir

হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত একবার গম পেষার চাক্কি ঘুরানোর কারণে হজরত ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাতে ফোস্কা পড়ে যায়। তখন তিনি একটি খাদেম চেয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গেলেন কিন্তু তাকে পেলেন না।

তখন তিনি তাঁর আসার উদ্দেশ্যটি হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বলে জানালেন। এরপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ঘরে আসলেন তখন আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা তাঁকে বিষয়টি জানালেন।

তারপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিকট এমন সময় আসলেন যখন আমরা বিছানায় বিশ্রাম গ্রহণ করছি। তখন আমি উঠতে চাইলে তিনি বললেন, নিজ জায়গায়ই থাকো। তারপর আমাদের মাঝে তিনি এমনভাবে বসলেন যে, আমি তাঁর দু`পায়ের শীতল স্পর্শ আমার বুকে অনুভব করলাম।

তিনি বলেন, আমি কি তোমাদের এমন একটি আমল বাতলে দেব না, যা তোমাদের জন্য একটি খাদেমের চাইতেও অনেক বেশি উত্তম। যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করতে যাবে, তখন তোমরা আল্লাহু আকবার () ৩৩ বার, সুবহানাল্লাহ () ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ () ৩৩ বার পড়বে। এটা তোমাদের জন্য একটি খাদেমের চাইতেও অনেক বেশি মঙ্গলজনক। ইবনে শিরিন বলেন, তাসবিহ ৩৪ বার। (বুখারি)

আল্লাহ তাআলা ঘুমাতে যাওয়ার সময় এ হাদিসের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।