ইয়াহুদি ও নাসারাদের পরিচয়


প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

কুরআনে ইয়াহুদি নাসারাদের কথা এসেছে। অনেকেই জানে না ইয়াহুদি নাসারাদের পরিচয়। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেকের ধর্ম গ্রন্থেই শেষ নবি ও রাসুল আগমনের সুসংবাদ দিয়েছেন। উল্লেখিত জাতির যারাই শেষ রাসুলকে পাবে, তারা অবশ্যই তাঁর প্রচারিত জীবন ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার এবং তাঁকে মেনে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখিত জাতিসমূহের পরিচয় তুলে ধরা হলো-

ক. ইয়াহুদি-
হজরত মুসা আলাইহিস সালামের অনুসারীরাই (বনি ইসরাইল) ইয়াহুদি। ইয়াহুদি শব্দের অর্থ হচ্ছে বন্ধুত্ব। যেহেতু মুসা আলাইহিস সালামের অনুসারীরা অপরাধের কারণে আল্লাহর নিকট তাওবা করে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছে তাই তাদেরকে ইয়াহুদি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

কেউ কেউ বলেন, ইয়াহুদের সন্তান ছিল বলে তাদেরকে ইয়াহুদি বলা হয়। হজরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামের বড় ছেলের নাম ইয়াহুদ।

তারা তাওরাত পড়ার সময় নড়াচড়া করত বিধায় তাদেরক ইয়াহুদ বা হরকতকারী বলা হয় বলেও একটি মত পাওয়া যায়।

খ. নাসারা-
বনি ইসরাইল সম্প্রদায়ের যারা হজরত ঈসা আলাইহিস সালামকে পেয়েছে তাঁদের প্রতি নির্দেশ ছিল ঈসা আলাইহিস সালামের শরীয়তকে মেনে নেয়া। তাঁকে বিশ্বাস করা এবং মেনে নেয়া ছিল ওয়াজিব। তাদের নাম হয় নাসারা তথা সাহায্যকারী। কেননা তারা একে অপরকে সাহায্য করেছিল। তাদেরকে আনসারও বলা হয়।

কুরআনে ঈসা আলাইহিস সালামের কথা উদ্ধৃতি করে বলা হয়েছে, আল্লাহর দ্বীনে আমার সাহায্যকারী কে আছে? হাওয়ারীগণ বলে, আমরা আল্লাহর দ্বীনের সাহায্যকারী। কেউ কেউ বলেন, এ সব লোক যেখানে অবতরণ করে ঐ জায়গার নাম নাসেরাহ` বিধায় তাদেরকে নাসারা বলা হয়েছে।

এমএমএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।