মলমূত্র ত্যাগের ৭টি আদব


প্রকাশিত: ০৭:০৮ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। মানুষ নিজে পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি পরিবেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট হওয়াও ঈমানের দাবি। তাই বিশ্ব বিখ্যাত মুহাদ্দিস শায়খ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবি রহমাতুল্লাহি আলাইহি মলমূত্র ত্যাগের শিষ্টাচার রক্ষার্থে বেশ কিছু বিষয়ের উপর বিশেষ নজর রাখা বাঞ্ছনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। যা তুলে ধরা হলো-

ক. পায়খানা-পেশাবের প্রয়োজন মেটানোর সময় কিবলার প্রতি সম্মান প্রদর্শনার্থে তাকে পেছনে বা সামনে না রাখা। কেননা প্রিয় নবি বলেছেন, তোমরা যখন শৌচাগারে গমন করবে তখন ক্বিবলাকে সামনে বা পেছনে রেখে বসবে না।

খ. পবিত্রতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ নজর রাখা। অর্থাৎ ভালোভাবে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা। কেননা প্রিয় নবি মলমূত্র ত্যাগের পর কমপক্ষে তিনটি ঢিলা ব্যবহার করতেন।

গ. এমন স্থানে মলমূত্র ত্যাগ না করা, যেখানে মানুষের কষ্ট হয়। যেমন- মানুষের চলার পথে বা পথের পাশে, বদ্ধ পানিতে অথবা নিজের ক্ষতি হয় এমন স্থানে।

ঘ. পেশাব-পায়খানার সময় ভালো অভ্যাসে অভ্যস্ত হওয়া। যেমন- ডান হাতে শৌচকর্ম না করা।

ঙ. এমন দূরত্বে পেশাব-পায়খানা করা, যেখান থেকে মানুষ বায়ু নির্গত হওয়ার শব্দ শুনতে না পায় এবং লজ্জাস্থানও দেখতে না পায়।

চ. শরীরে বা কাপড়ে যেন মলমূত্র না লাগে সেদিকে বিশেষ নজর রাখা।

ছ. মনের খটকা দূর করা অর্থাৎ এমন স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করা যেখান থেকে শরীর বা জামা-কাপড় অপবিত্র হওয়ার সন্দেহ থাকে। যেমন- গোসলখানায় মলমূত্র ত্যাগ করা।

সুতরাং পেশাব-পায়খানা ত্যাগের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা অপরিহার্য। মুসলিম উম্মাহর উচিত, মলমূত্র ত্যাগের সময় উপরোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ নজর দেয়া। আল্লাহ তাআলা সবাইকে সুন্নাতের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।