ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন সম্পর্ক


প্রকাশিত: ০৬:৫৬ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বিশ্বমানবতাকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ ধরাতে আবির্ভাব। তিনি মানুষের জীবনের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সার্বিক বিষয়াবলী থেকে অন্ধকার দূর করে আলোর পথ দেখিয়েছেন। এমনকি মানুষের যৌন চাহিদা পূরণে পাশবিক বিশৃংখলাকে প্রশয় দেননি বরং জীবন ও যৌনতার অকাট্য বাস্তবতাকে ইসলাম স্বীকার করে বলেই তিনি যৌনতার বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য পেশ করেছেন।

যৌনক্ষমতার মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের বংশ বৃদ্ধি ও তার সংরক্ষণ। মানুষ যাতে যৌন ক্ষমতার সক্ষমতাকে যথার্থ স্থানে প্রবাহিত করে এবং পাশবিকতার নেশায় যেন মানুষ উম্মাদনার শিকার নয় হয়, সে কারণেই ইসলাম বিবাহ প্রথায় জোর তাগিদ দিয়েছে।

শুধু তাই নয়, যে সব কারণে যৌন স্খলনের সৃষ্টির হয় সে সবেরও প্রতিবিধান অত্যন্ত কঠোরভাবে করেছে। এক কথায় ইসলাম যৌন চাহিদার বৈধ আয়োজনকে করেছে একান্ত সহজ ও সুন্দর। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘যে বিবাহে খরচ কম ও সহজ, সে বিবাহ অধিক বরকতপূর্ণ। (বায়হাকি, মিশকাত)

তিনি আরও বলেন, ‘বিবাহের ফলে যুবকদের দৃষ্টি অবনত থাকে, গুপ্তাঙ্গ থাকে পবিত্র। যে যৌন ক্ষমতার যথার্থ প্রবাহের উপর নির্ভরশীল মানব অস্তিত্ব ও তার পবিত্রতা, সে যৌনতার স্খলনের সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইসলাম। লোভাতুর দৃষি ও অবাধ মেলামেশা যেহেতু যৌনাপরাধের মূল উৎস তাই এগুলোকে ইসলাম পরিষ্কারভাবে নিষেধ করেছে।’

পরিশেষে…
ইসলাম বিশ্বাস করে, মানুষ সৃষ্টির সেরা। তাই তার যৌন ক্ষুধা নিবারণ পদ্ধতি ও যৌন সম্পর্ক হবে অন্য সব প্রাণী থেকে আলাদা। যার সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে বিবাহ। যে মাধ্যমে যৌন কামনা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি সভ্যতাও ভূলুন্ঠিত হবে না।

সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।