অজু শেষে দোয়া পড়ার ফজিলত
আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রত্যেকটি কাজকেই ফজিলতপূর্ণ করেছেন। কারণ, আল্লাহ তাআলা মানুষকে অত্যধিক ভালোবাসেন। ফজিলতপূর্ণ আমলগুলোর কারণে মানুষ যেন ইবাদাত-বন্দেগির প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে নেক আমল করে। ইবাদাত-বন্দেগির (ফরজ ইবাদাত) জন্য অজু করা আবশ্যক। সাধারণত অজু অবস্থায় থাকা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতও বটে। সুতরাং অজু করার পর কালিমার সাক্ষ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত। হাদিসে এসেছে-
হজরত উক্ববা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
‘তোমাদের মধ্যকার কেউ যদি উত্তম এবং পূর্ণাঙ্গরূপে অজু করার পর বলে, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দাহ ও রাসুল। তাহলে ঐ ব্যক্তির জন্য বেহেশতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হয়। সে ইচ্ছা করলে এর যে কোনো দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে পারবে। (মুসলিম)
সুতরাং অজু করার পর উম্মাতে মুসলিমার উচিত, উক্ত কালিমা সাক্ষ্য দেয়া। আল্লাহ তাআলা সবাইকে কালিমা সাক্ষ্য দিয়ে জান্নাত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এবিএস