হাতে লেখা কুরআনের মূদ্রণ কপি
হজ মৌসুমসহ মক্কা এবং মদীনায় যে কুরআন শরীফ বিশ্বব্যাপী বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। তা ডিজিটাল পদ্ধতিতে টাইফকৃত কোনো ফ্রন্ট নয়। এটি মদীনা মুসহাফ-এর প্রিন্টিং কপি। যিনি এ মদীনা মুসহাফকে অনেক পরিশ্রম করে হাতে লিখেছেন তিনি হলেন শেখ উসমান ত্বাহা। হাতে লিখা কুরআন শরীফ ও তাঁকে নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরা হলো-
তার নাম শেখ উসমান তাহা। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে কুরআনের ১৪টি কপি নিজ হাতে লিখেছেন। মদিনায় অবস্থিত বাদশাহ ফাহাদ কমপ্লেক্সের জন্য তিনি চার কপি কুরআন মূদ্রণ করেন। যাতে তার সময় লেগেছিল ১৮ বছর। সাধারণত কুরআন শরীফের একটি মুসহাফ লিখতে ৩ বছরের কিছু বেশি সময় লাগে। লিখা পরবর্তীতে তা পড়া এবং প্রুফ দেখার জন্য অতিরিক্ত এক বছরের প্রয়োজন হয়। এ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে লন্ডন ভিত্তিক ওয়েবসাইট ইলমফিড.কম (www.ilmfeed.com) থেকে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন রফিক বিন জোবায়ের।
শেখ উসমান ১৯৩৪ সালে সিরিয়ার আলেপ্পোতে জন্মগ্রহণ করেন, আরবি ক্যালিগ্রাফির প্রতি তার রয়েছে বিশেষ আগ্রহ। তুরস্কের সবচেয়ে বিখ্যাত আধুনিক লিপিবিশারদগণের অন্যতম মরহুম শেখ মুসা আজমি তাঁকে সার্টিফিকেট প্রদান করেন। মরহুম শেখ মুসা আজমি যখন ১৯৮৮ সালে মদিনায় বাদশা ফাহাদ কমপ্লেক্সে হাতে লিখা কুরআনের মুদ্রণ কপিটি পরিদর্শনে যান। তখন শেখ উসমান ত্বাহাকে সার্টিফিকেট প্রদান করেন। যেখানে অনেক জনপ্রিয় বরেণ্য আরবি ক্যালিগ্রাফাররা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাপী বিনামূলে লক্ষ লক্ষ কপি কুরআন শরীফের কপি বিতরণ করা হয়। মদিনার মুসহাফে সংরক্ষিত তাঁর হাতে লিখিত এ কুরআনের কপি থেকেই প্রিন্ট করা হয়। সারা বিশ্বের লাখ লাখ মুসলিম দ্বারা এই কুরআন শরীফের প্রতিটি অক্ষর তিলাওয়াতে তিনিও প্রতিদান পেয়ে থাকেন। যা কল্পনার অতীত।
আল্লাহ তাআলা এ সৌভাগ্যবান ব্যক্তিকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। এবং সমগ্র বিশ্ব মুসলিমের অন্তরে এ রকম মহতী মর্যাদাবান কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস