আল্লাহর কুদরাতের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ‘মুসা ও হারুন’
![আল্লাহর কুদরাতের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ‘মুসা ও হারুন’](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2016January/Kudrat-1Top20160206061740.jpg)
আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি নিয়ামাত যাদেরকে দান করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বনি ইসরাইল জাতি। কুরআনে এ সব নিয়ামাতের ইতিহাস উল্লেখ করে মুসলিম জাতিকে একদিকে সুসংবাদ দিয়েছেন, অন্যদিকে শ্রেষ্ঠ নবির শ্রেষ্ঠ উম্মাত হওয়ার জন্য মন-মানসিকতা তৈরির রসদ যুগিয়েছেন। বিপদে ধৈর্যধারণ করার তাগিদ দিয়েছেন। তাই বনি ইসরাইল জাতিকে চূড়ান্ত ধ্বংসের হাত থেকে আল্লাহ তাআলা কিভাবে রক্ষা করেছেন তা তুলে ধরা হলো-
হজরত ওহাব ইবনে মোনাব্বেহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেন, আমার নিকট এ বিবরণ পৌঁছেছে যে, ফিরাউন বনি ইসরাইলের ৯০ হাজার শিশুকে হত্যা করেছিল। আর মহামারীর কারণে অনেক বয়স্ক লোকজনের মৃত্যু হয়। এ অবস্থায় কিবতী সম্প্রদায়ের লোকেরা অস্থির হয়ে উঠে যে, পরিশ্রম ও কাজের সব দায়-দায়িত্ব তাদের উপর অর্পিত হবে। তাই তারা ফিরাউনের কাছে আবেদন করলো যে, বনি ইসরাইলদের শিশু হত্যা বন্ধ করা হোক। কিবতীদের দাবি অনুযায়ী ফিরাউন ফরমান জারি করলো যে, এক বছর পর পর বনি ইসরাইলের শিশুদের হত্যা করা হবে।
আল্লাহ তাআলার কুদরাতে যে বছর শিশু হত্যা বন্ধ ছিল সে বছর জন্ম নিলেন হজরত হারুন আলাইহিস সালাম। আর যে বছর শিশু হত্যা জারি ছিল সে বছর, জন্ম নিলেন হজরত মুসা আলাইহিস সালাম। আল্লাহ তাআলা হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে ফিরাউনের পতন ঘটিয়ে দুনিয়াতে তাঁর তাওহিদের প্রচার, প্রসার এবং বাস্তবায়নের জন্যই সন্তান হত্যার বছর পৃথিবীতে পাঠিয়ে ফিরাউনের ঘরেই লালন-পালনের ব্যবস্থা করেছিলেন। যা ছিল আল্লাহ তাআলার মহা নিয়ামাত এবং কুদরাতের জলন্ত দৃষ্টান্ত।
সুতরাং সকল প্রকার কঠিন পিবদাপদেও অধৈর্য না হয়ে আল্লাহর উপর অগাধ আস্থা এবং বিশ্বাস রাখা প্রত্যেক মুসলমানের উচিত। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সকল প্রকার বিপদাপদে ধৈর্য ধারণ করা এবং তাঁর সাহায্য চাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস