নির্যাতিতদের জন্য বিশ্বনবীর উপদেশ
দুনিয়াতে উত্তম জিনিস প্রাপ্তি, সুখ-শান্তি, সুযোগ-সুবিধা ও ভালো ফলাফল লাভ করতে হলে পরিশ্রম করতে হয়। বিনা পরিশ্রমে কখনো উত্তম জিনিস লাভ করা যায় না। এ জন্যই পরিশ্রমকে সৌভাগ্যে প্রসূতি বলা হয়। ইসলাম মানুষের শান্তি ও মুক্তির বারতা নিয়ে এসেছে। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে আমরা ইসলামকে পেয়েছি। আমাদের পর্যন্ত ইসলামের সুযোগ-সুবিধা আসতে অগণিত অসংখ্যা মুসলমানের জীবন এবং রক্ত দিতে হয়েছে।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে বিশ্বনবীর আহ্বানে যারা সাড়া দিয়েছেন, তাদেরকে অনেক দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। এ কষ্টের সময়েও সাহাবায়ে কেরামের মনোবল ও ঈমানকে চাঙ্গা রাখতে রাসুলুল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে উপদেশ দিয়েছেন তা তুলে ধরা হলো-
হজরত খাব্বাব ইবনে আরত রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এমন মুহূর্তে অভিযোগ করলাম, যখন তিনি কাবা ঘরের ছায়ায় চাদর দিয়ে বালিশ বানিয়ে বিশ্রাম করছিলেন। আমরা বললাম, আপনি আমাদের জন্য কি সাহায্য কামনা করবেননা? আমাদের জন্য কি দোয়া করবেন না? তিনি বলেন, দেখ! তোমাদের পূর্বের যারা ঈমানদার ছিল (তাদের প্রতি এমন নির্যাতন হতো যে) তাদের কাউকে ধরে জমিনে গর্ত করে পুঁতে দেয়া হত। অতপর তার মাথায় করাত রেখে দ্বিখণ্ডিত করা হত। আর লোহার চিরুনি দ্বারা শরীরের গোশত ও হাড় পৃথক করা হত। কিন্তু এমন নির্মম অত্যাচারও তাদেরকে দ্বীন থেকে বিরত করতে পারেনি। আল্লাহর শপথ! এই দ্বীন পূর্ণতা লাভ করবে, এমনকি ভ্রমণকারী সানআ থেকে হাজরা মাউত পর্যন্ত নির্বিঘ্নে ভ্রমন করবে; কিন্তু ‘আল্লাহ ব্যতিত আর কাউকে ভয় পাবে না। আর মেষপালের জন্য একমাত্র বাঘের ভয় বাকি থাকবে; কিন্তু ‘তোমরা আসলে তাড়াহুড়া করছ।”(বুখারি)
সুতরাং আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ঈমানের উপর অটল ও অবিচল থাকতে বর্তমানের সামান্য ফেতনা-ফাসাদে ধৈর্যের সহিত সুন্দর ও উত্তম আচরণ দ্বারা মোকাবেলা করার তাওফিক দান করুন। কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী জীবনের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস