বিশ্বনবীর প্রশংসার নমুনা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্ব মানবতার জন্য অনুকরণীয় উত্তম আদর্শ। তিনি মানবতার মহান শিক্ষক। মুসলিম উম্মাহ কিভাবে বিনয়ী ও নম্রতা প্রকাশ করবে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে রয়েছে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিনয় ও নম্রতা প্রকাশে যেমন ছিলেন বিশ্বনবী-
হজরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘তোমরা আমার প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করো না, যেমন ঈসা ইবনে মরিয়াম সম্পর্কে খ্রিস্টানরা বাড়াবাড়ি করেছিল। আমি আল্লাহর বান্দা। তাই তোমরা বলবে- আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসুল। (বুখারি)
সমাজের দায়িত্বশীলদের প্রতি লক্ষ্য করলে বুঝা যায়, বিনয় ও নম্রতা কতদূর অনুপস্থিত। সমাজপতিদেরকে সম্মান না করলে তো উপায়ই নেই। মানপত্র রচনায় তাদের ব্যাপারে বাড়িয়ে না লিখলে, পঠনে গুণের বর্ণনা না দিলে তো কোনো দান-অনুদান তথা সুযোগ সুবিধার প্রশ্নই আসে না। অথচ বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিনয় ও নম্রতা দিয়ে অন্ধকার যুগকে আলোর যুগের পরিণত করেছিলেন। এবং তাঁর ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন।
সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে বিনয় ও নম্রতার রঙে রঙিন হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস