বনি ইসরাইলের মর্যাদা
বনি ইসরাইলদের প্রতি আল্লাহ তাআলার নিয়ামাতসমূহের উল্লেখের উদ্দেশ্য হলো- তাদেরকে কুরআন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর ঈমান আনার জন্য অনুপ্রাণিত করা। আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইলকে সে যুগের সবার উপরে তাদেরকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছেন। তাদের প্রতি নিয়ামাত প্রদানের কথা, উচ্চ মর্যাদার কথা শ্রবণে তাঁরা আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কুরআন এবং শেষ নবির উপর ঈমান আনবে। কিন্তু তারা এ কর্তব্য পালনে হয়েছে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আল্লাহ বলেন-
হে বনী-ইসরাঈলগণ! আমি যে নিয়ামাত তোমাদেরকে দান করেছি, তা তোমরা স্মরণ কর আর (স্মরণ কর) সে বিষয়টি যে, আমি সমগ্র বিশ্ববাসীর উপর তোমাদেরকে উচ্চমর্যাদা দান করেছি। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৪৭)
অত্র আয়াতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময়কার ইয়াহুদিরা উদ্দেশ্য। সে সময়কার বনি ইসরাইলদেরকে আল্লাহ তাআলা জানাচ্ছেন যে, তোমাদের পূর্বপুরুষদের অসংখ্য নিয়ামাত দান করা হয়েছে, তোমাদের পূর্বপুরুষদের মধ্য থেকে অসংখ্য নবি-রাসুল পাঠানো হয়েছে, তোমাদের পূর্বপুরুষদের দীর্ঘদিন যাবত রাষ্ট্র ক্ষমতা দান করা হয়েছে।
এমন কি সে যুগের শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে তোমাদের উচ্চ মর্যাদা দান করা হয়েছে। তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত দান করা হয়েছিল। যার প্রমাণ কুরআনের এসেছে- ‘যখন মূসা স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেনঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত স্মরণ কর, যখন তিনি তোমাদের মধ্যে পয়গম্বর সৃষ্টি করেছেন, তোমাদেরকে রাজ্যাধিপতি করেছেন এবং তোমাদেরকে এমন জিনিস দিয়েছেন, যা বিশ্বজগতের কাউকে দেননি ‘ (সুরা মায়েদা : আয়াত ২০)
সুতরাং বনি ইসরাইলের প্রতি আল্লাহ তাআলার নিয়ামত সমূহ উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হলো তাদেরেকে ঈমানের জন্য অনুপ্রাণিত করা। বাস্তবে তারা কুরআন ও শেষ নবির অনুসরণে ব্যর্থ হয়েছে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে কুরআন ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ ও অনুকরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আরআইপি