কথা ও কাজে অমিলের সতর্কবাণী


প্রকাশিত: ০৫:০৬ এএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬

ইয়াহুদিদের প্রতি নির্দেশ ছিল তোমরা ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপন কর আল্লাহ তাআলার উপর, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর, নামাজ কায়েম কর, জাকাত আদায় কর এবং মুসলমানদের সঙ্গে নামাজের জামাআতে শামিল হও। এগুলো ছিল পূর্ববর্তী আয়াতের নির্দেশ। ইয়াহুদিরা যখন এ নির্দেশকে অমান্য করে তখন তাদের লক্ষ্য করে আল্লাহ তাআলা বলেন-

Quran-Top

তোমরা মানুষকে সৎ কাজের নির্দেশ দিচ্ছ, আর ভুলে যাও নিজেদেরকে অথচ তোমরা কিতাব পাঠ করে থাক, তোমরা কি একথাটিও বুঝতে পার না? (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৪৪)

অত্র আয়াতে বলা হয়েছে, তোমরা মানুষদেরকে সৎ কাজের আদেশ দিয়ে থাক। অথচ আল্লাহ তাআলা তোমাদের কিতাব তাওরাতে শেষ নবি ও তাঁর প্রতি প্রেরিত গ্রন্থ কুরআনের উপর ঈমান আনার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, সে নির্দেশ তোমরা পালন করছ না। এবং যে সত্য প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তা মানুষের মাঝে প্রকাশ করছ না। তাই এ আয়াতে আল্লাহ তাদেরকে প্রশ্ন করে বলেন, এ স্ববিরোধী নীতি যে কত বড় অন্যায়, তা কি তোমরা উপলব্দি কর না?

তাফসিরে এসেছে, মদীনায় কোনো কোনো ইয়াহুদি তাদের সম্প্রদায়ের লোকদেরকে গোপনে ইসলাম কবুল করতে উদ্বুদ্ধ করতো, ইসলামের সত্যতা স্বীকার করে  মানুষকে ইসলাম গ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করতো, কিন্তু নিজেরা ইসলাম কবুল করতো না। এ আয়াতের সম্বোধন তাদেরকেও করা হয়েছে।

পরিশেষে...
আয়াতের শিক্ষা হচ্ছে- যার মানুষকে সৎ কাজের নির্দেশ দিবে তারা নিজেরাও সৎ কাজে অন্তর্ভূক্ত হবে। যারা এ কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করে না তাদের জন্য এ আয়াত সতর্কবানী। আল্লাহ তআলা আমাদেরকে কথা ও কাজে মিল রেখে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

আরও পড়ুন