কসম করার বিধান


প্রকাশিত: ০৭:১৩ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

সাধারণ অর্থে কসম করা ঠিক নয়, কারণ কসম করে তা বাস্তবায়ন করতে না পারলে গোনাহ হয়। যার কারণে কসমের কাফফারা দিতে হয়। তাছাড়া কসম করায় রয়েছে শরয়ী নিয়ম। কসমের শব্দগুলো এরকম- উকসিমু বিল্লাহ, ওয়াল্লাহ, বিল্লাহ, তাল্লাহ ইত্যাদি শব্দ দ্বারা কসম করা। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার নামে কসম করা। অথচ মুসলিম সমাজের অনেকের মুখে শিরকি ও কুফরি কসম শোনা যায়। যেমন- পশ্চিম (কাবার) দিকে মুখ করে কসম, মসজিদে গিয়ে বা স্পর্শ করে কসম, ছেলে-মেয়ের নামে বা স্পর্শ করে কসম, মা-বাবাসহ অন্যান্য গাইরুল্লাহর নামে কসম অথচ কসম করার ইসলামি রীতি আমাদের জানা থাকা দরকার। যা তুলে ধরা হলো-

আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলাই সৃষ্টি জগতের কসম করতে পারেন। যা কুরআনের বহু জায়গায় অনেকবার উল্লিখিত হয়েছে। কিন্তু জ্বিন-ইনসান তথা গাইরুল্লাহর নামে কসম করা কুফরি তথা শিরকে আসগার বা ছোট শিরক। এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে-

Kasam

হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ব্যতিত অন্যের) নামে হলফ বা কসম করলো সে কুফরি বা শিরক করলো। (তিরমিজি, মুসতাদরেকে হাকিম)

সুতরাং কোনো কারণে যদি কসম করতেই হয় তবে শুধুমাত্র আল্লাহর নামেই কসম করা। আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারো নামে কসম করা কুফরি বা শিরক। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে গাইরুল্লাহর নামে কসম করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।