আল্লাহর জ্ঞান ও হিকমতের বহিঃপ্রকাশ
আল্লাহ তাআলা যখন পৃথিবীতে প্রতিনিধি পাঠাতে ফেরেশতাদের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। তখন ফেরেশতারা মানুষ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, আমরাইতো আপনার ইবাদাত-বন্দেগি, তাসবিহ-তাহলিল করি। প্রতিনিধির প্রয়োজনীয়তা কি? যার উত্তর আল্লাহ তাআলা ৩০ এবং ৩১ নং আয়াতে দিয়েছেন। এবং বলেছেন তোমরা যদি তোমাদের বক্তব্যের ব্যাপারে সত্যবাদী হয়ে থাক তবে এ পৃথিবীর সমগ্র সৃষ্টির নামগুলো বলে দাও। তখন ফেরেশতারা যা বললেন, তা কুরআনে এসেছে-
‘তারা বলল, তুমি পবিত্র! আমরা কোনো কিছুই জানি না, তবে তুমি যা আমাদিগকে শিখিয়েছ (সেগুলো ব্যতিত) নিশ্চয় তুমিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৩২)
অর্থাৎ অত্র আয়াতে ফেরেশতারা তাদের জ্ঞানের স্বল্পতার কথা স্বীকার নিয়েছেন। পূর্ববর্তী আয়াতে ‘যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক’ এ কথা বলার পর ফেরেশতারা আল্লাহর পবিত্রতা ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করতে থাকেন। এবং তাদের জ্ঞানে স্বল্পতা বর্ণনা করতে আরম্ভ করলেন। আর বললেন, হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যতটুকু শিখিয়েছেন, আমরা ততটুকুই জানি। সমস্ত জিনিসকে পরিবেষ্টনকারী জ্ঞান তো আপনারই আছে। আপনি সমূদয় জিনিসের সংবাদ রাখেন। আপনার সকল আদেশ-নিষেধ হিকমতে পরিপূর্ণ।
সুতরাং বুঝা গেল, আল্লাহ তাআলা যাকে কিছু শিখিয়ে দেন বা দান করে তাও হিকমতপূর্ণ এবং যাকে কোনো জ্ঞান বা শিক্ষা হবে বঞ্চিত রাখেন তাও তাঁর হিকমত। মহান রাব্বুল আলামিন প্রজ্ঞাময় এবং ন্যাবিচারক।
আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে প্রজ্ঞা এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের তাওফিক দান করুন। কুরআনকে জীবন ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করে জ্ঞান ও হিকমত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস