হজরত আদম ও জগৎ সৃষ্টির সময়
আল্লাহ তাআলা সমগ্র জগত সৃষ্টি করেছেন। অতপর হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেছেন। এ সমূদয় সৃষ্টিতে রয়েছে আল্লাহর সুনিপুন কলা-কৌশল। এ সকল সৃষ্টিতে আল্লাহ তাআলা কি পরিমাণ সময় নিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা কুরআনে তিন জায়গায় জগত সৃষ্টি কথা উল্লেখ করেছেন। আর তাহলো
ক. সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৯;
খ. সুরা হা-মীম সাজদা : আয়াত ৯-১২;
গ. সুরা নাযিয়াত : আয়াত ২৭-৩২)।
হাদিস এবং তাফসিরের সংক্ষিপ্ত ভাষ্য-
হজরত আবদুল্লাহ বিন সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে রোববার হতে মাখলুকের সৃষ্টি শুরু হয়। দুদিনে সৃষ্টি করা হয় জমিন। জমিনের সমস্ত জিনিস সৃষ্টি করা হয় দুই দিনে। এবং দু`দিনে আসমান সৃষ্টি করা হয়। শুক্রবারের শেষাংশে আসমানের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ঐ সময়ই আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয় এবং ঐ সময়েই কিয়ামাত সংঘটিত হবে। (তাফসিরে ইবনে জারির)
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার হাত ধরে বলেন যে, আল্লাহ তাআলা মাটি সৃষ্টি করেছেন শনিবারে, পাহাড় রোববারে, বৃক্ষরাজি সোমবারে, খারাপ জিনিসগুলো মঙ্গলবারে, আলো বুধবারে জীবজন্তু বৃহস্পতিবারে এবং হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেন শুক্রবার আসরের নামাজের পর। সেই দিনের শেষ সময় আসরের নামাজের পর থেকে নিয়ে রাত পর্যন্ত। (মুসলিম, নাসাঈ)
কাযী সানাউল্লাহ পানিপথী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, জগত সৃষ্টিতে আল্লাহ তাআলা ছয়দিন সময় নিয়েছিলেন। শুক্রবারে হজরত আদম আলাইহিস সালামের সৃষ্টি বাস্তবায়িত হয়েছে।
সুতরাং সপ্তাহের সাতদিনব্যাপীই আল্লাহ তাআলা জগত সৃষ্টি করেছেন। এ সৃষ্টির শুকরিয়া আদায় করা বান্দার একান্ত কর্তব্য। মুসলিম উম্মাহকে জগতের সমূদয় সৃষ্টি থেকে উপকার গ্রহণ করে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনে তাঁর হুকুম-আহকাম পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস