নামাজে সুরার আগে ‘আউজুবিল্লাহ’ পড়তে হবে কি?
কোরআন তেলাওয়াত কিংবা কোনো কাজ শুরুর আগে অনেকেই আউজুবিল্লাহ পড়ে থাকেন। কিন্তু নামাজে কেরাত তথা সুরা ফাতেহা পড়ার আগে ইস্তেআজাহ তথা আউজুবিল্লাহ পড়া লাগবে কি? এ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনাই বা কী?
যে কোনো কাজের শুরুতে আউজুবিল্লাহ পড়লে শয়তানের আক্রমণ থেকে মুক্ত থাকা যায় বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। তিনি নামাজে সুরা বা কেরাত শুরুর আগেও ইস্তেআজাহ তথা আউজুবিল্লাহ পড়তেন। শয়তানের প্ররোচনা ও ধোঁকা থেকে আশ্রয় চাইতেন। তিনি বলতেন-
أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ، مِنْ هَمْزِهِ وَنَفْخِهِ وَنَفْثِهِ
উচ্চারণ : ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাঝিম; মিনহামযিহি ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফছিহি।’
অর্থ : ‘আমি আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে তার প্ররোচনা ও ফুৎকার থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’
অন্য হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু সাঈদ আল-খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে নামাজের জন্য দাঁড়ালে তাকবিরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবার) বলার পর এই দোয়া পড়তেন-
سُبْحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গায়রুকা ‘
এরপর তিনবার- (لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও তিনবার- (اللهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا) ‘আল্লাহু আকবার কাবিরা’ বলার পর বলতেন-
أَعُوْذُ بِاللهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ، مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ، مِنْ هَمْزِهِ وَنَفْخِهِ وَنَفْثِهِ
উচ্চারণ : আউজুবিল্লাহিস সামিয়িল আলিমি মিনাশ শাইত্বানির রাঝিম; মিনহামযিহি ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফছিহি।
অর্থ : ‘আমি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞাতা আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে তার প্ররোচনা ও ফুৎকার থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ তারপর (সুরা ফাতেহাসহ) কেরাত পাঠ করতেন।’ (আবূ দাউদ, দারাকুতনি, তিরমিজি, মুসতাদরাকে হাকেম, ইবনে হিব্বান)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, হাদিসে উল্লেখিত নিয়মে নামাজের কেরাত পড়ার আগে ইস্তেআজাহ তথা ‘আউজুবিল্লাহ’ পড়া। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করা। যেভাবে আমল করতে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস