করোনা বিস্তাররোধে ধোয়া হলো কাবা শরিফ

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২১

মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব ও বিস্তাররোধে জমজম ও গোলাপ মিশ্রিত পানিতে ধোয়া হলো পবিত্র কাবা শরিফ। খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল-সৌদের নির্দেশনায় পবিত্র নগরী মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালেদ আল ফয়সালের নেতৃত্বে সোমবার পবিত্র কাবা শরিফ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। খবর আরব নিউজ।

১৪৪৩ হিজরির নতুন বছর ও করোনা মহামারির বিস্তাররোধে  পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার নির্দেশনা দেন দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান। রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী এ কাজে নেতৃত্ব দেন পবিত্র নগরী মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালেদ আল-ফয়সাল। তার সঙ্গে এ কাজে তদারকি করেন ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান বিন আব্দুল আজিজ, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইসাম বিন সাদ বিন সাঈদ এবং দুই পবিত্র মসজিদের প্রধান খতিব শায়খ ড. আব্দুল রহমান বিন আব্দুল আজিজ আস-সুদাইসি।

গভর্নর প্রিন্স খালেদ আল-ফয়সাল করোনা বিস্তাররোধে কাবা শরিফ ধোয়ার কাজে নেতৃত্ব দেন এবং নিজ হাতে ধোয়ার কাজ শুরু করেন। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে, মুখে মাস্ক পরে আগতরা কাবা শরিফ ধোয়ার কাজে অংশগ্রহণ করেন।

দুই স্তর বিশিষ্ট বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কাবা শরিফের ভেতরে ২ ঘন্টা সময় নিয়ে ৪৫ লিটার সুগদ্ধি, গোলাপ মিশ্রিত জমজমের পানি ব্যবহার করা হয়। কাবা শরিফের ভেতরের প্রাচীর তিন মিটার উঁচু। এর ছাদ ভেতরের দিকে সবুজ সিল্ক ফ্যাব্রিক দিয়ে আচ্ছাদিত।

কাবা ঘর পরিচ্ছন্ন করা প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঐতিহ্য ও আদর্শ। অষ্টম হিজরির শেষে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয় করে কাবা শরিফে প্রবেশ করেন। বাহ্যিক ও মৌলিকভাবে কাবা ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন। কাবা শরিফে থাকা মূর্তিগুলোকে তিনি অপসারণ করেন।

অন্যান্য সময় কাবা শরিফ ধোয়ার কাজে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হলেও মহামারি করোনার কারণে অন্যদেশের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

jagonews24

পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার কাজে অংশগ্রহণকারীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ সম্পন্ন করার পর হাজরে আসওয়াদে (কালো পাথর) চুম্বন করেন। অতপর কাবা তাওয়াফ করেন। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহিমে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করেন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ৯ জিলহজ আরাফার দিনে কাবা শরিফের গিলাফ পরানো হয়। আর মহররম মাসের পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়া হয়। পবিত্র এ ঘর ও স্থানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কুরআনুল কারিমে সুস্পষ্ট নির্দেশ এসেছে এভাবে-

jagonews24

‘আর আমার ঘরকে পবিত্র রাখো তাওয়াফকারীদের জন্য, নামাজে দণ্ডায়মানদের জন্য এবং রুকু-সেজদাকারীদের জন্য।’ (সুরা হজ : আয়াত ২৬)

এরপর থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সেই রীতি অনুসরণ ও অনুকরণের মাধ্যমে সৌদি আরব রাষ্ট্রীয় ফরমানের মাধ্যমে প্রতি বছরই যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে কাবা শরিফ ধোয়ার কর্মসূচি গুরুত্বসহকারে পালন করে থাকেন।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।