হিদায়াত প্রাপ্তদের গুণাবলী

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৭ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫

তিনটি বিষয়ের ওপর পরিপূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস যার মধ্যে থাকবে সে হিদায়াত প্রাপ্ত। কেউ যদি এর কোনো একটি সম্পূর্ণ বা আংশিক অস্বীকার করে তাহলে সে হিদায়াত থেকে চিরতরে বঞ্চিত হয়ে যাবে। তাহলে যারা হিদায়াতাপ্রাপ্ত তাদের বিশ্বাস কেমন হওয়া চাই। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন-

Quran-Inner

যারা ঈমান আনে এবং স্বীয় বিশ্বাসকে শিরকের সাথে মিশ্রিত করে না, তাদের জন্যেই শান্তি এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত বা সুপথগামী। (সুরা আনআম : আয়াত ৮২)

হিদায়াতপ্রাপ্ত বা সুপথগামীরা সর্বদা তিনটি বিষয়ের ওপর স্থির থাকে। কেউ যদি এর কোনো একটিকে সম্পূর্ণ বা অস্বীকার করে তবে তার তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতের কোনো স্বীকৃতিই গণ্য হবে না।

০১. আল্লাহর কৃতকর্মে তাকে এককভাবে বিশ্বাস করা। যেমন- সৃষ্টি করা, রিযিকদান, জীবন-মৃত্যুদান, এমনকি সমগ্র বিশ্ব ও বিষয়াদি পরিচালনা।

০২. যে সব কাজের জন্য আল্লাহ তার বান্দাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাতে তাঁর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা। যেমন- তারই জন্য নামাজ প্রতিষ্ঠা করা, তারই জন্য রোজা রাখা, তাঁর নামেই কুরবানি করা, নজর (মানৎ), বিপদে-আপদে তার নিকট দোয়া কামনা, আশা-ভরসা, ভয়, সাহায্য সবই তাঁর নিকট কামনা করা। এমনকি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র পরিচালনায় বিচার ব্যবস্থা, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়াদি কুরআন এবং সুন্নাহ মোতাবেক পরিচালনা করা।

০৩. কুরআন এবং সুন্নাহতে আল্লাহর যে সব গুণবাচক নাম উল্লেখিত হয়েছে সেগুলোর কোনো বিকৃতি, বিলুপ্তি, ধরণ পদ্ধতি, অপব্যখ্যা, তুলনা ও উপমা ছাড়া বিশ্বাস ও কাজে সাব্যস্ত করা। চাই গুণাবলীগুলো আচরণগত হোক বা সত্ত্বগত হোক।
সুতরাং আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে উপরোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে যথাযথ আমল ও বিশ্বাস স্থাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।