তালবিয়া পাঠ হজের বিশেষ আমল ও ইবাদত

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ১০ জুলাই ২০২১

আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা সম্বলিত 'তালবিয়া' পড়া হজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি হজ ও ওমরার উদ্দেশ্যে ইহরামের নিয়ত করার পর থেকে পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ শুরু করার আগ পর্যন্ত পড়তে হয়। এ তালবিয়া হলো মহান আল্লাহর তাওহিদের অনন্য ঘোষণা। হজে অংশগ্রহণকারীরা তালবিয়া পড়ার মাধ্যমেই মহান আল্লাহর দরবারে হাজির হওয়ার ঘোষণা দেয়।

তালবিয়া
لَبَّيْكَ اَللهم لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيْكَ لَكَ
উচ্চারণ : 'লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক; লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বায়িক; ইন্নাল হামদা ওয়ান্নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক; লা শারিকা লাক।’
অর্থ : ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির। আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, আমি হাজির। নিশ্চয়ই সব প্রশংসা ও নেআমত তোমারই জন্য এবং রাজত্বও তোমারই; তোমার কোনো শরিক নেই।’ (বুখারি ও মুসলিম)

হজ ও ওমরাহ পালনকারী পুরুষদের একটু উঁচু স্বরে তালবিয়া পড়া উত্তম। তবে তালবিয়া খুব বেশি উচ্চ স্বরে অথবা এমন সমস্বরে পড়া ঠিক নয়; যা অন্যের ইবাদত-বন্দেগিতে বিঘ্ন ঘটায় কিংবা কারো বিরুক্ত কারণ না হয়। তবে নারীরা নিচু স্বরে অথবা মনে মনে তালবিয়াহ পড়বেন।

মূলত তালবিয়া পাঠ হচ্ছে তাওহিদ তথা আল্লাহর একত্ববাদ চর্চার দৃশ্যমান ইবাদত ও আমল। এটি পবিত্র হজ ও ওমরার স্লোগানও বলা হয়। তাই হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের জন্য বেশি বেশি তালবিয়া পড়া মুস্তাহাব।

মনে রাখতে হবে
হজ ও ওমরায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য এ তালবিয়া দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে, অজু কিংবা অজু ছাড়াও সর্বাবস্থায় পড়া যায়।' (ইবনে খুজাইমা, মুসলিম)

আল্লাহ তাআলা হজ ও ওমরায় অংশগ্রহণকারীদের সব সময় তালবিয়া পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর তাওহিদের স্লোগানে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।