করোনার দ্বিতীয় বছরে হজ করতে পারবে ৬০ হাজার মানুষ!
কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর চলতি বছর (২০২১ সালে) বিশ্বের সব দেশ থেকে ৬০ হাজার মানুষকে হজ পালনের অনুমতি দেবে সৌদি। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হারামাইন ডটইনফো। খবর সিয়াসাত ডটকম।
সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশিদের জন্য আগামী জুলাই মাসে বার্ষিক হজ কার্যক্রমে অংশগ্রণের সুযোগ দেবে দেশটি। তবে মহামারি করোনার প্রাক-প্রাথমিক সময়েল তুলনায় এবার আরও কম হবে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বাইরে থেকে ৪৫ হাজার ব্যক্তকে হজ পালনের সুযোগ দেওয়া হবে। আর সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ ১৫ হাজার ব্যক্তিকে হজের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
Hajj News
(@HaramainInfo) May 23, 2021
Only 60,000 pilgrims in total for all countries to perform Hajj rituals for this year 2021 / 1442
45,000 pilgrims from outside KSA will be allocated and 15,000 from inside KSA
An entire 9 page document has been released with all the necessary information.
এ দিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রতিনিধি মাওলানা তাহির আশরাফিও সামা টিভিতে সৌদি আরবের হজের এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সৌদি আরব ১৭ মে থেকে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। তবে এ বছর (২০২১ সালের) ১৭-২২ জুলাই পবিত্র হজ হওয়ার কথা রয়েছে।
হজের জন্য যে বিষয়গুলো বাধ্যতামূলক থাকবে
১. আভ্যন্তরীণ ও বিদেশি মিলে শুধু ৬০ হাজার ব্যক্তিকে হজের অনুমতি দেবে।
২. হজ পালনকারীদের বয়স ১৮-৬০ এর মধ্যে হতে হবে।
৩. হজ পালনকারীকে অবশ্যই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।
৪. হজ পালনকারীদের এ বিষয়টি প্রমাণপত্রসহ নিশ্চিত করতে হবে যে, হজের আগের ৬ মাস কোনো অসুস্থতায় হাসপাতালে ছিলেন না।
৫. হজে যাওয়ার আগে অবশ্যই করোনা ভাইরাসের টিকার দুটি ডোজ সম্পন্ন করার প্রমাণপত্র সংগ্রহের রাখতে হবে।
৬. গ্রহণ করা টিকা সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবে।
৭. বিদেশিদের হজে আসার সঙ্গে সঙ্গে ৩ দিন কোয়ারেন্টাইন করতে হবে।
৮. টিকার প্রথম ডোজ অবশ্য ঈদুল ফিতরের আগে নিতে হবে। এবং দ্বিতীয় ডোজ সৌদিতে পৌঁছার ১৪ দিন আগে নিতে হবে।
৯. পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি সর্বাত্মকভাবে অনুসরণ করতে হবে।
এছাড়াও হারামাইন শরিফাইনের টুইটারে হাজিদের পালনীয় নির্দেশনাবলি উল্লেখ করা হয়েছে। হজের স্থানে পৌঁছার আগে, হোটেলে পৌঁছার পর, আরাফার ময়দান ও মসজিদুল হারাম অবস্থানকালের হাজিদের করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনাও দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এমএমএস/জিকেএস