কাবা শরিফে এবার মুসল্লিরা যেভাবে ইফতার করেন

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ১০ মে ২০২১

মহামারি করোনার কারণে গত বছর কাবা শরিফ ও মদিনায় ইফতার আয়োজন হয়নি। এবার রোজাদার মুসল্লিদের জন্য ইফতারের আয়োজন হলেও তা ছিল নিষ্প্রাণ। করোনার আগে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ ও মদিনার মসজিদে নববিতে প্রতি বছরই আধ্যাত্মিক ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশে প্রায় ১০ লাখ লোকের ইফতারের বিশাল আয়োজন হতো।

মহামারি করোনার কারণে ১৪৪১ হিজরি (গত বছরের) রমজান মাসের ইফতারের এ বিশাল আয়োজন পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এবার শর্ত সাপেক্ষে মুসল্লিদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে ইফতার। তবে আগের মতো বিশাল ও মনোমুগ্ধকর আয়োজন নেই।

এ বছর কাবা শরিফ ও মদিনায় ইফতার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে প্যাকেটজাত শুকনো খাবার। সঙ্গে থাকছে খেজুর ও পাণীয়। ইফতারের আগে মুসল্লিদের মাঝে হারামাইন কর্তৃপক্ষের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকরা তা বিতরণ করছে।

হারামাইন শরিফাইনের ফেসবুক পেজের ভিডিওতে কাবা প্রাঙ্গণে মুসল্লিদের মধ্যে খেজুর বিতরণ করতে দেখা যায়। রোজাদার মুসল্লিরা মাগরিবের নামাজ আদায়ে পবিত্র কাবা চত্বরে সমবেত হয়। সবাই নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বিদ্যমান রেখেই কাবা শরিফের চত্বর ও মসজিদে হারামে অবস্থান নেয়। স্বেচ্ছাসেবকরাই সবার কাছে ইফতারের প্যাকেট বিতরণ করে।

মহামারি করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র রমজান মাসে ইতিমধ্যে ৩০ লাখের বেশি মুসল্লি কাবা শরিফে নামাজ আদায় ও ওমরাহ পালন করেছেন।

করোনা টিকা নেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই তারা মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফে প্রবেশ করেন। শুরু থেকেই হারামাইন কর্তৃপক্ষ করোনা সংক্রমণরোধে মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ভেতরে ইবাদত করতে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধানসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আসছে।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।