রমজানের সময়গুলো যে কাজে ব্যয় করবেন
রহমত ক্ষমা ও নাজাতের মাস রমজান। বিগত জীবনের গোনাহ মাফের মাস রমজান। জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির মাসও রমজান। হাদিসের পরিভাষায় তা সুস্পষ্ট। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসের ব্যাপারে যে সতর্কতায় জিবরিল আলাইহিস সালামের কথায় ‘আমিন’ বলেছিলেন, তা ছিল এমন-
‘যারা রমজান পেলো কিন্তু নিজেদের গোনাহ মাফ করাতে পারলো না, তারা ধ্বংস হোক’- জিবরিল আলাইহিস সালামের এ কথা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘আমিন’।
বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, বিগত জীবনের গোনাহ ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির মাসও রমজান।’
রমজান মাসজুড়ে যে কাজগুলোর মাধ্যমে আমলকে সুন্দর করা যায়, তা পালন করা মুমিন মুসলমানের জন্য আবশ্যক। আর তাহলো-
> রমজানে ইবাদতের পরিবেশ সৃষ্টি করা। নিজে ইবাদত করার পাশাপাশি অন্যকে ইবাদতে উৎসাহিত করা।
> বিগত জীবনের গোনাহের জন্য দ্রুত তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা।
> রমজান মাসকে আনন্দ চিত্তে গ্রহণ করা এবং রোজার তাৎপর্য উপলব্দি করা।
> বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে তারাবিহ নামাজ আদায় করা। একাগ্রতার সঙ্গে তারাবিহ আদায়কারী বিগত জীবনের গোনাহ মাফ হয়ে যায়।
> মা বাবা জীবিত থাকলে তাদের খেদমত করা।
> রমজানের দ্বিতীয় দশক তথা মধ্যের ১০ দিন অলসতা না করা।
> শেষ দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ করা।
> বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে অর্থসহ পুরো কুরআন তেলাওয়াত করা এবং কুরআনের আলোকে জীবন গড়ে তোলা।
> রমজানে ওমরা পালন করা। এ মাসের ওমরায় হজের সাওয়াব পাওয়া যায়।
> লাইলাতুল কদর তালাশে ইতেকাফে বসা।
> বেশি বেশি দান-সাদকা করা।
রমজান মাসের গুরুত্ব তুলে ধরে হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
‘তোমাদের মাঝে রমজান মাস সমাগত। ইহা এক বরকতময় মাস। আল্লাহ তাআলা এ মাসের রোজা তোমাদের ওপর ফরজ করেছেন। এ মাসে আকাশের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। আর এ মাসে শয়তানকে বন্দি করে রাখা হয়। এ মাসে একটি রাত আছে যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো সে চূড়ান্তভাবেই ব্যর্থ ও বঞ্চিত হলো।’ (নাসাঈ)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজান মাসজুড়ে উল্লেখিত কাজগুলো করার মাধ্যমে হাদিসে ঘোষিত ফজিলত ও মর্যাদা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস