তাবুক যুদ্ধে মুনাফিকদের ষড়যন্ত্রের বর্ণনা পড়া হবে আজ
আজ রমজানের সপ্তম তারাবিহ অনুষ্ঠিত হবে। আজকের তেলাওয়াতকৃত সুরা দুইটিতে হিজরত, বদর যুদ্ধ, হুদাইবিয়ার সন্ধি, মক্কা বিজয় ও গনিমতের মালামাল সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোসহ তাবুকের যুদ্ধে মুনাফিকদের ষড়যন্ত্র ও দোষগুলোর বর্ণনা তেলাওয়াত করা হবে। এ বিষয়গুলোর অধ্যয়নই তারাবিহ নামাজকে করে তুলবে প্রাণবন্ত।
সুরা আনফালের ৪১নং আয়াত থেকে (৭৫) শেষ পর্যন্ত এবং সুরা তাওবার শুরু থেকে ৯৩ নং আয়াত পর্যন্ত তেলাওয়াত করা হবে।
তাবুকের যুদ্ধে মুনাফিকদের দোষ
সুরা তাওবায় মক্কা বিজয়, জিযিয়া ও খেরাজ প্রসঙ্গ, ইসলামি আকিদার মৌলিক বিষয় তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতের আলোচনা রয়েছে। আজকের তিলাওয়াত অংশে জিহাদের প্রস্তুতি, জিহাদের সরঞ্জাম সংগ্রহ, আরবের সব গোত্রের সঙ্গে করা হুদায়বিয়ার সন্ধিসহ সব চুক্তি বাতিলকরণের বিষয়ও আলোচিত হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে মক্কা বিজয়, হুনাইন ও তাবুক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তাবুকের যুদ্ধে মুনাফিকরা যা করেছিল সেসব দোষগুলো তুলে ধরা হয়েছে এ সুরায়। আর তাহলো-
- মিথ্যা অজুহাত
'যদি আশু লাভের সম্ভাবনা থাকতো এবং যাত্রাপথও সংক্ষিপ্ত হতো, তবে তারা অবশ্যই আপনার সহযাত্রী হতো, কিন্তু তাদের নিকট যাত্রাপথ সুদীর্ঘ মনে হল। আর তারা এমনই শপথ করে বলবে, আমাদের সাধ্য থাকলে অবশ্যই তোমাদের সাথে বের হতাম, এরা নিজেরাই নিজেদের বিনষ্ট করছে, আর আল্লাহ জানেন যে, এরা মিথ্যাবাদী।' (সুরা তাওবা : আয়াত ৪২)
- যুদ্ধে অংশগ্রহণে তালবাহানা
'আল্লাহ ও রোজ কেয়ামতের প্রতি যাদের ঈমান রয়েছে তারা মাল ও জান দ্বারা জেহাদ করা থেকে আপনার কাছে অব্যাহতি কামনা করবে না, আর আল্লাহ সাবধানীদের ভাল জানেন।' (সুরা তাওবা : আয়াত ৪৪)
'নিঃসন্দেহে তারাই আপনার কাছে অব্যাহতি চায়, যারা আল্লাহ ও রোজ কেয়ামতে ঈমান রাখে না এবং তাদের অন্তর সন্দেহগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, সুতরাং সন্দেহের আবর্তে তারা ঘুরপাক খেয়ে চলেছে।' (সুরা তাওবা : আয়াত ৪৫)
আর যদি তারা বের হবার সংকল্প নিত, তবে অবশ্যই কিছু সরঞ্জাম প্রস্তুত করতো। কিন্তু তাদের উত্থান আল্লাহর পছন্দ নয়, তাই তাদের নিবৃত রাখলেন এবং আদেশ হল বসা লোকদের সাথে তোমরা বসে থাক।' (সুরা তাওবা : আয়াত ৪৬)
- জেহাদ থেকে অব্যহতির ফন্দি
আর তাদের কেউ বলে, আমাকে অব্যাহতি দিন এবং পথভ্রষ্ট করবেন না। শোনে রাখ, তারা তো পূর্ব থেকেই পথভ্রষ্ট এবং নিঃসন্দেহে জাহান্নাম এই কাফেরদের পরিবেষ্টন করে রয়েছে। (সুরা তাওবা : আয়াত ৪৯)
- ঈমানদারকে বিপদে আনন্দ-উল্লাস
আপনার কোন কল্যাণ হলে তারা মন্দবোধ করে এবং কোন বিপদ উপস্থিত হলে তারা বলে, আমরা পূর্ব থেকেই নিজেদের কাজ সামলে নিয়েছি এবং ফিরে যায় উল্লসিত মনে।' (সুরা তাওবা : আয়াত ৫০)
- মুসলমানদের সঙ্গে মিথ্যা শপথ
'তারা আল্লাহর নামে হলফ করে বলে যে, তারা তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত, অথচ তারা তোমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়, অবশ্য তারা তোমাদের ভয় করে।' (সুরা তাওবা : আয়াত ৫৬)
- সম্পদে পেলে আনন্দ ও না পেলে ক্ষোভ
'তাদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যারা সদকা বন্টনে আপনাকে দোষারূপ করে। এর থেকে কিছু পেলে সন্তুষ্ট হয় এবং না পেলে বিক্ষুব্ধ হয়।' (সুরা তাওবা : আয়াত ৫৮)
- প্রিয় নবিকে গালমন্দ
'আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ নবিকে ক্লেশ দেয়, এবং বলে, এ লোকটি তো কানসর্বস্ব। আপনি বলে দিন, কান হলেও তোমাদেরই মঙ্গলের জন্য, আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখে এবং বিশ্বাস রাখে মুসলমানদের কথার উপর। বস্তুতঃ তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার তাদের জন্য তিনি রহমতবিশেষ। আর যারা আল্লাহর রসূলের প্রতি কুৎসা রটনা করে, তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আজাব।' (সরা তাওবা : আয়াত ৬১)
- পরস্পর মন্দ কাজে জড়িত
'মুনাফেক নর-নারী সবারই গতিবিধি একরকম; শিখায় মন্দ কথা, ভাল কথা থেকে বারণ করে এবং নিজ মুঠো বন্ধ রাখে। আল্লাহকে ভুলে গেছে তার, কাজেই তিনিও তাদের ভূলে গেছেন নিঃসন্দেহে মুনাফেকরাই নাফরমান।' (সুরা তাওবা : আয়াত ৬৭)
সর্বোপরি মুনাফেকরা ছিল কাফেরদের প্রতিনিধিত্বকারী। আল্লাহ তাআলা এ বিষয়টিও কুরআনের আজকের তেলাওয়াতের অংশে তুলে ধরেন-
যেমন করে তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা তোমাদের চেয়ে বেশী ছিল শক্তিতে এবং ধন-সম্পদের ও সন্তান-সন্ত তির অধিকারীও ছিল বেশী; অতঃপর উপকৃত হয়েছে নিজেদের ভাগের দ্বারা আবার তোমরা ফায়দা উঠিয়েছ তোমাদের ভাগের দ্বারা-যেমন করে তোমাদের পূর্ববর্তীরা ফায়দা উঠিয়েছিল নিজেদের ভাগের দ্বারা। আর তোমরাও বলছ তাদেরই চলন অনুযায়ী। তারা ছিল সে লোক, যাদের আমলসমূহ নিঃশেষিত হয়ে গেছে দুনিয়া ও আখেরাতে। আর তারাই হয়েছে ক্ষতির সম্মুখীন। (সুরা তাওবা : আয়াত ৬৯)
সুরা আনফাল
সুরা আনফালে বদর যুদ্ধ, যুদ্ধে বিজয় হওয়ার পর যুদ্ধলব্ধ গণিমত সম্পর্কিত তথ্য ও করণীয় সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ সুরায় আরও আলোচিত হয়েছে বদরের যুদ্ধ চলাকালে সেসব কাফির মুশরিক ও আহলে কিতাবের অশুভ পরিণতি, তাদের পরাজয় ও অকৃতকার্যতা এবং তাদের মোকাবেলায় মুসলমানদের কৃতকার্যতা সম্পর্কিত বিষয়। যা মুসলমানদের জন্য ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে একান্ত করুণা ও মহাদান আর কাফের অবিশ্বাসীদের জন্য ছিল আজাব ও প্রতিশোধস্বরূপ। আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَاعْلَمُواْ أَنَّمَا غَنِمْتُم مِّن شَيْءٍ فَأَنَّ لِلّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ إِن كُنتُمْ آمَنتُمْ بِاللّهِ وَمَا أَنزَلْنَا عَلَى عَبْدِنَا يَوْمَ الْفُرْقَانِ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ وَاللّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
‘আর জেনে রেখ! যুদ্ধে যা কিছু তোমরা (গনিমত হিসেবে) লাভ কর, তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ, তাঁর রাসুলের, রাসুলের নিকটাত্মীয়, পিতৃহীন ইয়াতিম, দরিদ্র এবং পথচারীদের জন্য। যদি তোমরা আল্লাহ ও সেই জিনিসে বিশ্বাসী হও, যা ফয়সালার দিন (বদর প্রান্তরে) আমি আমার বান্দার প্রতি নাজিল করেছিলাম; যেদিন দু’দল (মুসলিম ও কাফের) পরস্পর মুখোমুখি হয়েছিল। আর আল্লাহ তাআলা সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।’ (সুরা আনফাল : আয়াত ৪১)
মুমিন মুসলমান বদর যুদ্ধে জয় লাভ করেছেন। মাত্র ৩১৩ জন সৈন্যবাহিনী নিয়ে ৩ হাজারেরও বেশি বিশাল কাফের বাহিনীর সঙ্গে জেহাদে নেমে পড়েন। আল্লাহ তাআলা ঈমানদার মুমিন মুসলমানদের বিজয়ের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ حَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى الْقِتَالِ إِن يَكُن مِّنكُمْ عِشْرُونَ صَابِرُونَ يَغْلِبُواْ مِئَتَيْنِ وَإِن يَكُن مِّنكُم مِّئَةٌ يَغْلِبُواْ أَلْفًا مِّنَ الَّذِينَ كَفَرُواْ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لاَّ يَفْقَهُونَ
'হে নবি, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু'শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন।' (সুরা আনফাল : আয়াত ৬৫)
যুদ্ধলব্দ গণিমতের মাল বা সম্পদ থেকে খাওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ। কুরআনে এসেছে-
فَكُلُواْ مِمَّا غَنِمْتُمْ حَلاَلاً طَيِّبًا وَاتَّقُواْ اللّهَ إِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
'সুতরাং তোমরা খাও গণীমত হিসাবে তোমরা যে পরিচ্ছন্ন ও হালাল বস্তু অর্জন করেছ তা থেকে। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, মেহেরবান।' (সুরা আনফাল : আয়াত ৬৯)
আবার ইসলামের জন্য ত্যাগ স্বীকারকারী আনসার ঈমানদারকে সত্যিকারের মুসলমান হিসেবে আল্লাহ ঘোষণা করেন-
وَالَّذِينَ آمَنُواْ وَهَاجَرُواْ وَجَاهَدُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَالَّذِينَ آوَواْ وَّنَصَرُواْ أُولَـئِكَ هُمُ الْمُؤْمِنُونَ حَقًّا لَّهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ
'আর যারা ঈমান এনেছে, নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়েছে এবং আল্লাহর রাহে জেহাদ করেছে এবং যারা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে, সাহায্য-সহায়তা করেছে, তাঁরা হলো সত্যিকার মুসলমান। তাঁদের জন্যে রয়েছে, ক্ষমা ও সম্মানজনক রুজি।' (সুরা আনফাল : আয়াত ৭৪)
এ সুরায় আল্লাহ তাআলা মুসলমানদেরকে আনসার-মুহাজির সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরিসহ আনসারদের মধ্যে চালু থাকা বিগত দিনের শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা কলহ-বিবাদের অবসান ঘটিয়ে ইসলামি রাষ্ট্রের প্রথম ধাপ ইসলামি জাতীয়তা প্রতিষ্ঠা করেন।
দ্বিতীয় ধাপে মদিনার ইয়াহুদি খ্রিস্টানদের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি সম্পাদিত হয়। এ সকল চুক্তির বিষয়াদি আলোচিত হয়েছে এ সুরায়। এ সুরার শেষে বদরের যুদ্ধের যুদ্ধবন্দীদের মুক্তিতে করণীয় ও মুক্তিপণের বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে।
সুরা তাওবার ০১-৯৩
মদিনায় অবতীর্ণ ১২৯ আয়াত ও ১৬ রুকু সম্বলিত সুরা 'সুরা তাওবা'। নবম হিজরিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রোমানদের শায়েস্তা করার অভিযানে বের হচ্ছিলেন তখন এ সুরাটি নাজিল হয়। ইসলামের ইতিহাসে সে অভিযানটি তাবুক যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।
সুরা তওবা দুইটি মৌলিক বিষয় আলোচিত হয়ছে। একটি হলো-
- মুশরিক ও আহলে কিতাবদের বিরুদ্ধে জেহাদের বিধান।
- তাবুকে যুদ্ধে মুনাফিকদের মুখোশ উন্মোচন।
মূল কথা হলো সুরাটি জেহাদ সম্পর্কিত আলোচনা হয়েছে। এ সুরা প্রসঙ্গে হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু একটি ফরমান লিখেছিলেন। ফরমানটি হলো-
'তোমরা নিজেরা সুরা তাওবা শিখ আর তোমাদের স্ত্রীদেরকে সুরা নূর শিক্ষা দাও। এর কারণ হলো- সুরা তাওবাতে জিহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে আর সুরা নুরে পর্দা প্রথা প্রচলনের তাগিদ দেয়া হয়েছে।'
আজকের তেলাওয়াত অংশে ওঠে এসেছে আল্লাহর গণণায় ১২মাসমমূহের বর্ণনা। যার মধ্যে ৪টি সম্মানিত। এ সম্মানিত মাসে আল্লাহ তাআলা রক্তপাতকে নিষিদ্ধ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
'নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে। আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকিদের সাথে রয়েছেন।' (সুরা তাওবা : আয়াত ৩৬)
তাছাড়া আজকের তারাবিহতে পঠিত শেষ ৪ আয়াতে ওঠে এসেছে আল্লাহ ও তার রাসুলের জন্য জীবন ও মাল দিয়ে জেহাদে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সুসংবাদ এবং অসহযোগিতাকারীদের জন্য শাস্তির ঘোষণা। আর যারা অসহায় গরিব কিংব রুগ্ন তাদের জন্য ছাড়ের বিষয়টিও। আল্লাহ তাআলা বলেন-
- 'আর রাসুল এবং সেসব লোক যারা ঈমান এনেছে, তাঁর সাথে তারা যুদ্ধ করেছে নিজেদের জান ও মালের দ্বারা। তাদেরই জন্য নির্ধারিত রয়েছে কল্যাণসমূহ এবং তারাই মুক্তির লক্ষ্যে উপনীত হয়েছে।' (সুরা তাওবা : আয়াত ৮৮)
- 'আল্লাহ তাদের জন্য তৈরী করে রেখেছেন কানন-কুঞ্জ, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে প্রস্রবণ। তারা তাতে বাস করবে অনন্তকাল। এটাই হল বিরাট কৃতকার্যতা।' (সুরা তাওবা : আয়াত ৮৯)
- 'আর ছলনাকারী বেদুঈন লোকেরা এলো, যাতে তাদের অব্যাহতি লাভ হতে পারে এবং নিবৃত্ত থাকতে পারে তাদেরই যারা আল্লাহ ও রসূলের সাথে মিথ্যা বলে ছিল। এবার তাদের উপর শীগ্রই আসবে বেদনাদায়ক আযাব যারা কাফের।' (সুরা তাওবা : আয়াত ৯০)
- 'দূর্বল, রুগ্ন, ব্যয়ভার বহনে অসমর্থ লোকদের জন্য কোন অপরাধ নেই, যখন তারা মনের দিক থেকে পবিত্র হবে আল্লাহ ও রসূলের সাথে। নেককারদের উপর অভিযোগের কোন পথ নেই। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী দয়ালু।' (সুরা তাওবা : আয়াত ৯১)
আল্লাহ তআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন বুঝে পড়ার এবং তাঁর ওপর আমল করার পাশাপাশি নিজেদের আকিদা-বিশ্বাসকে শিরকমুক্ত রাখার তাওফিক দান করুন। কুরআন নাজিলের মাস রমজানে এ মহাগ্রন্থ বুঝে পড়ে সে অনুযায়ী জীবন গড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস