চোরাই মাল কেনা কি বৈধ?

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২১ এএম, ১৮ মার্চ ২০২১

অনেককেই বলতে শোনা যায়, ‘টানা মোবাইল’, ‘টানা ঘড়ি’ কিংবা ‘টানা গাড়ি’। এমনকি এ তালিকায় রয়েছে উচ্চমূল্যের জুতাও। এ সবের মানে কী? আবার ‘টানা’ এসব জিনিসের বাজার মূল্যও কম। আসলে ‘টানা’ এসব জিনিস মানে হলো চোরাই মাল। চুরি করে নিয়ে আসা জিনিস-পত্রকে সাধারণত এ সম্বোধন করা হয়।

চুরি করে নিয়ে আসা মোবাইল, ঘড়ি, গাড়ি, জুতা কিংবা যে কোনো জিনিস কেনা বা ব্যবহার করা কি বৈধ হবে? এ প্রসঙ্গে ইসলাম কি বলে?

নগর ও শহরে চোরাই মাল কেনা-বেচার হাট বসে। কেউ আবার রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েও এসব চরিকৃত জিনিস বিক্রি করে। দামে কম হওয়ায় উচ্চ মূল্যের এসব জিনিস-পত্র অনেকেই কেনাকাটা করে থাকে। এ সম্পর্কে ইসলামের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। রয়েছে চুরির অপরাধের বিধানও।

‘না’, জেনে-শুনে স্বজ্ঞানে কোনো ব্যক্তির জন্য চুরি করে নিয়ে আসা পণ্য কেনা জায়েজ নয়। জিনিসটি কম কিংবা বেশি দামি হোক; কোনো অবস্থাতেই চুরির মোবাইল, ঘড়ি, জুতা, গাড়ি কিংবা যে কোনো পণ্য কেনা ইসলামে বৈধ নয়। হাদিসে পাকে এসেছে-
‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জেনেশুনে চুরিকৃত বস্তু ক্রয় করল সে-ও চুরির অপরাধে শরিক হয়ে গেল (নাউজুবিল্লাহ)।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, আত-তারগিব ওয়াত তারহিব)

তাবেয়ি মুহাম্মাদ ইবনে সিরিন রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বরেন, আমি একবার আবিদা আস-সালমানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহিকে জিজ্ঞাসা করলাম- আমি কি জানা থাকা সত্ত্বেও চুরিকৃত মাল কিনতে পারব? তিনি বললেন, ‘না’, তুমি তা কিনতে পারবে না।’ (প্রাগুক্ত)

চুরি করে নিয়ে আসা মালামাল কেনাও চুরি করার অপরাধের শামিল। কারণ চুরি করে নিয়ে আসা মাল কেনার দ্বারা একদিকে চুরিকে সমর্থন ও সহযোগিতা করা হয়। অন্যদিকে চোরকে চুরির প্রতি উৎসাহ দেয়া হয়।

মুমিন মুসলমানের উচিত, পুরাতন কিংবা নতুন কোনো জিনিস কেনার সময় সন্দেহ হলে খোঁজ-খবর জেনে নেয়া খুবই জরুরি। চুরির মাল নয়, বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তারপর কেনাকাটা করাই উত্তম।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে চুরিকৃত মাল কেনা থেকে হেফাজত করুন। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই কিংবা জবরদখলের কাজে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।