নামাজের মধ্যে যে কাজগুলো ওয়াজিব
নামাজ মুসলমানের প্রধান ইবাদত। ঈমানের পরেই নামাজের স্থান। নামাজে এমন কিছু কাজ আছে, যেগুলো ফরজ। কিছু কাজ করা ওয়াজিব বা আবশ্যক। কেউ যদি ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দেয়, আর সাহু সেজদা ছাড়া নামাজ শেষ করে তবে তাকে পুনরায় নামাজ পড়তে হবে। আমরা কি জানি? নামাজের ওয়াজিবগুলো কী কী?
আসুন, নামাজের মধ্যে ওয়াজিব কাজগুলো জেনে নেই-
- নামাজে সুরা ফাতেহা (আল-হামদুলিল্লাহ) পড়া।
- সুরা ফাতেহার পর (কেরাআত পড়া) সুরা মেলানো। কমপক্ষে তিন আয়াত বা তিন আয়াতের সমকক্ষ এক আয়াত পরিমাণ তেলাওয়াত করা।
- প্রত্যেক ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাআত কেরাআতের জন্য নির্ধারিত।
- কেরাআত পড়া, রুকু করা, সেজদা আদায় করার মধ্যে তারতিব তথা ক্রমধারা (ধারাবাহিকতা) ঠিক রাখা। এমন যেন না হয়, আগে সেজদা পরে কেরাআত কিংবা রুকু করা ইত্যাদি।
- রুকু করার পর সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
- দুই সেজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা।
- রুকু করা, রুকুর পর দাঁড়ানো, সেজদা করা এবং সেজদার মাঝখানে বসাতে কমপক্ষ এক তাসবিহ পরিমাণ স্থির থাকা। যাতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ যথাস্থানে পৌঁছতে পারে।
- তিন বা চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাজের দুই রাকাআত পর বৈঠকে তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু) পড়া। ন্যূনতম তাশাহহুদ পড়া পরিমাণ সময় অতিবাহিত করা।
- প্রথম ও শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া।
- প্রকাশ্য নামাজ তথা ফজর, মাগরিব, ইশা’র ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাআতে উচ্চস্বরে সুরা ফাতেহা পড়া এবং সুরা মিলানো। আর জোহর ও আসর নামাজে নিরব শব্দে সুরা ফাতেহা ও সুরা মিলানো।
- নামাজ শেষে ‘আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ শেষ করা।
- বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়া জন্য অতিরিক্ততাকবির দেয়া এবং দোয়ায়ে কুনুত পড়া।
- দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় কিংবা ১১ তাকবির দেয়া।
- নামাজের মধ্যবর্তী সব ফরজ ও ওয়াজিবগুলো তারতিব তথা ক্রমধারা অনুযায়ী ধারাবাহিকতা ঠিক রাখাও ওয়াজিব। এর ব্যতিক্রম হলেই সাহু সেজদা দিতে হবে। আর সাহু সেজদা দিতে ভুলে গেলে নামাজও হবে না।
সুতরাং নামাজের ওয়াজিবগুলোর ব্যাপারে সতর্ক ও সচেতন হওয়া খুবই জরুরি। ওয়াজিব ছেড়ে দিলে বা ওয়াজিব পালন করতে ভুলে গেলে নামাজ শেষ হওয়ার আগে সাহু সেজদা দিতে হবে। ওয়াজিব ছেড়ে দেয়ার পর সাহু সেজদা করতে ভুলে গেলে পুনরায় নামাজ পড়তে হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের ওয়াজিবগুলো যথাযথভাবে আদায় করার ব্যাপারে সতর্ক থাকার তাওফিক দান করুন। যথাযথভাবে ফরজ ও ওয়াজিবগুলো মেনে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ