ফিলিস্তিনে হজরত ঈসার (আ.) বাড়ির সন্ধান!

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২০

ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর নাজেরাহতে হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের বাড়ির সন্ধান মিলেছে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, ক্রিপ্টে থাকা 'স্ট্রং কেস' বাড়িটি যীশু তথা হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের। খবর বিবিসি, নিউইয়র্ক পোস্ট ডটকম এবং ইজিপ্ট টুডে ডটকম।

বাড়িটি ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর নাজেরাহ এলাকায় অবস্থিত। এটি বেথলেহম এবং জেরুসালেমের পর তৃতীয় শহর সেখানে হজরত ঈসা আ. তার জীবনের ১৪ বছর অতিবাহিত করেছেন। বাইবেলের ভাষ্য মতে, হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম শৈশব এবং কৈশোরে এ সব শহরে অতিবাহিত করেন।

প্রত্নতাত্ত্বিকেরা দাবি করেছেন যে, তারা এমন একটি বাড়ির সন্ধান পেয়েছেন যেখানে হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম তার শৈশবকাল কাটিয়েছেন।

লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের প্রফেসর ‘কেন ডার্ক’ ২০০৬ সালে প্রথম এই অঞ্চলে অনুসন্ধান শুরু করেন। ২০১৫ সালে তিনি নিশ্চিত হন যে, এই বাড়িটিতেই হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম তাঁর শৈশবকাল কাটিয়েছিলেন। আধুনিক প্রযুক্তি বিজ্ঞানীদের প্রমাণ করতে দিয়েছেন যে এই বাড়িটি খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল কিনা।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মূলত যীশুর বাড়ি খুঁজতে নাজেরাহতে যাইনি; আমি আসলে বাইজেন্টাইন খ্রিস্টান তীর্থস্থান হিসাবে নগরীর ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করছিলাম। অধ্যাপক ডার্ক বিশ্বাস করেন যে, সংগৃহীত তথ্য ও প্রমাণ দ্বার এটাই বিদ্যমান যে, তার অনুমানই সঠিক হয়েছে। আর এতে আমার চেয়ে আর কেউ বেশি অবাক হতে পারেনি।’

বাইবেলেও তার এ অনুমানের বৈধতার প্রমাণ রয়েছে। ব্রিটিশ এই প্রত্নতাত্ত্বিকের মতে, বাড়িটি দক্ষ ও পেশাদার রাজমিস্ত্রি দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৮৮০’র দিকে বাড়িটি প্রথম নাজেরাহতে খ্রিস্টান নানদের দ্বারা আবিষ্কার হয়েছিল। ১৯৩০’র দিকে বাইবেলের পণ্ডিত ভিক্টর গেরিন বলেন, নাজেরাহ শহরে ১৮৮৮ সালেও গবেষণার জন্য খননকাজ অব্যাহত ছিল। পরে তা আবার ১৯৩৬ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। সেই সময়, নানরা যীশু তথা হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের সেখানে বসবাস করার কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি, তবে এখন একজন প্রত্নতাত্ত্বিক নিশ্চিত হয়েছেন যে. এটিই যীশুর তথা হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের বাড়ি।

এমএমএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।