আমলনামায় পাপ-পুণ্য লেখা হয় যেভাবে
ভালো ও মন্দ কাজে মহান আল্লাহর নির্দেশ হলো- সৎ কাজ করা আর অন্যায় কাজ পরিহার করা। যারা ভালো কাজ করবে তাদের জন্য রয়েছে সাওয়াব বা পুণ্য। আর যারা অন্যায় কাজ করবে তাদের জন্য রয়েছে গোনাহ।
তবে অন্যায় কাজের ইচ্ছা পোষণ করা পর কোনো মানুষ যদি তা না করে, তাতেও আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে সাওয়াব দান করেন। মানুষের আমলনামায় পাপ ও পুণ্য লেখা সম্পর্কে হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে-
- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ (ফেরেশতাদের) বলেন- ‘আমার বান্দা যখন কোনো পাপ করার ইচ্ছা করে, তখন তোমরা তা ততক্ষণ পর্যন্ত লেখবে না, যতক্ষণ না সে তা করে। যদি সে তা (পাপ) করে, তবে সমান পাপ লেখ। আর যদি সে তা আমার কারণে ত্যাগ করে, তবে তার জন্য পুণ্য লেখ। আর যদি সে পুণ্যের কাজ করার ইচ্ছা করে কিন্তু তা না করে, তবে তার জন্য পুণ্য লেখ। তারপর যদি সে পুণ্যের কাজ করে তবে তার জন্য তা দশগুণ থেকে সাতশো গুণ পর্যন্ত লেখ। (বুখারি ও মুসলিম)
- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন- আমার বান্দা যখন ভালো কাজ করার ইচ্ছা করে, তখনই আমি তার জন্য একটি নেকি লিখি যতক্ষণ সে তা না করে। আর যখন সে (ভালো কাজ) করে আমি তার জন্য দশ গুণ লিখি। আর যখন সে পাপ করার ইচ্ছা করে আমি তার জন্য তা ক্ষমা করি, যতক্ষণ না সে তা করে। তারপর যখন সে তা (পাপ) করে তখন আমি তার সমান লিখি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ফেরেশতারা বলে- ‘হে আমার রব! আপনার এ বান্দা পাপ করার ইচ্ছা করে। যদিও আল্লাহ তাআলা বেশি জানেন। আল্লাহ বলেন, তাকে পর্যবেক্ষণ কর; যদি সে পাপ করে, তবে জন্য সমান পাপ লেখ। যদি সে তা ত্যাগ করে, তবে তার জন্য তা নেকি হিসেবে লেখ। কারণ আমার জন্যই সে তা ত্যাগ করেছে।’ (মুসলিম)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ভালো কাজ করা। ভালো কাজ করার সামথ্য না থাকলেও তা করার সংকল্প করা। অন্যায় থেকে ফিরে থাকা। অন্যায় করার সংকল্প করার পর তা থেকে ফিরে থাকা। আর তাতেই মিলবে সাওয়াব।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ভালো কাজ করার এবং অন্যায় কাজ পরিহার করার তাওফিক দান করুন। হাদিসে উল্লেখিত ফজিলত ও সুবিধা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ