তাকবিরে তাশরিক পড়ুন শুক্র থেকে মঙ্গলবার
হজের মাস জিলহজের ৯-১৩ তারিখ পর্যন্ত ৫ দিন ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামের পর তাকবিরে তাশরিক ১ বার পড়া ওয়াজিব বা আবশ্যক আমল। এ বছর ১৪৪১ হিজরির জিলহজ মাস হিসেবে (২০২০) আগামী ৩১ জুলাই শুক্রবার ফজরের নামাজ থেকে তাকবিরে তাশরিক পড়া শুরু করতে হবে। ০৫ আগস্ট মঙ্গলবার আসরের নামাজ পর্যন্ত এ তাকবির পড়তে হবে।
তাকবির, তাহলিল ও তাহমিদের এগুচ্ছ মালা হচ্ছে তাকবিরে তাশরিক। মহান আল্লাহর বড়ত্ব, একত্ববাদের স্বীকৃতি ও প্রশংসায় নিয়োজিত থাকে মুমিন মুসলমান।
প্রাপ্ত বয়স্ক প্র্যত্যেক নারী-পুরুষ, মুকিম-মুসাফির, গ্রামবাসী-শহরবাসী সবার জন্য একাকি কিংবা জামাআতে ফরজ নামাজ আদায়ের পর একবার তাকবিরে তাশরিক আদায় করা ওয়াজিব। তাই উল্লেখিত তারিখে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য নির্ধারিত সময়ে তাকবিরে তাশরিক পড়া জরুরি। এ ছাড়া সব সময় তাকবিরে তাশরিক পড়তে থাকা মুস্তাহাব আমল।
তাকবিরে তাশরিক
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর; লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু; ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর; ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।’
অর্থ : ’আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’
প্রত্যেক ওয়াক্তে তাকবিরে তাশরিক একবার পড়া ওয়াজিব আর ৩ বার পড়া মুস্তাহাব। এ ৫ দিনে মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজে তাকবিরে তাশরিক পড়তে হয়। এ হুকুম প্রত্যেক আরবি বছরের উল্লেখিত ৫ দিনের জন্যই প্রযোজ্য।
আল্লাহতাআলা মুসলিম উম্মাহকে ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর বড়ত্ব, একত্ববাদের ঘোষণা ও প্রশংসা করে যথাযথ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলার ভালোবাসার ভাগিদার হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ