জামাআতে নামাজ পড়লে যে মর্যাদা পাবে মুমিন

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪৮ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২০

যার মসজিদে যাওয়ার শক্তি আছে, তার জন্য মসজিদে জামাআতে নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। জামাআতে নামাজ আদায়ের এ বিধান পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্যই প্রযোজ্য। চাই তা সফর অবস্থায় হোক বা বাড়িতে থাকা অবস্থায় হোক কিংবা নিরাপদ অবস্থায় হোক অথবা ভয়ের মধ্যে থাকা অবস্থায় হোক।

ইসলামের সুন্দর দৃশ্যসমূহের মধ্যে জামাআতে নামাজ আদায় অন্যতম একটি। কেননা জামাআতে নামাজ পড়া হলো ফেরেশতাদের সারিবদ্ধ হয়ে ইবাদত করার সঙ্গে সামঞ্জস্যতার শামিল।

জামাআতে নামাজ পড়লে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হয়। একে অপরের সঙ্গে পরিচিতি লাভ করে। সাম্য ও সহনশীলতার গুণ বিকশিত হয় এবং অন্যদের কাছে মুমিন মুসলমানের সম্মান, শক্তি ও একাত্মতার নিদর্শন ফুটে ওঠে।

সে কারণেই প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য জামাআতে নামাজ আদায় করা জরুরি। ফেতনার আশংকাসহ কোনো সমস্যা না থাকলে এবং সম্ভব হলে মুসলিম নারীরাও জামাআতে নামাজ আদায় করতে পারবে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য জামাআতে নামাজ আদায়ের অনেক ফজিলত বর্ণনা করেছেন। যাতে রয়েছে গোনাহ মাফ ও মর্যাদা লাভের ঘোষণা। যা মানুষকে জামাআতের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে তোলো। হাদিসে এসেছে-

- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল মসজিদে গমন করে, আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতে মেহমানদারির (অতিথির সেবার বিশেষ) ব্যবস্থা করেন। যখন সে সকাল-বিকাল (মসজিদে জামাআতে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে) গমন করে।’ (বুখারি, মুসলিম)

- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ নির্ধারিত কোনো ফরজ আদায়ের জন্য (নিজ) ঘরে ওজু করার পর আল্লাহর কোনো ঘরের (মসজিদের) দিকে রওয়ানা হয়, তার প্রতিটি (কদমের) দুই ধাপের প্রথমটি দ্বারা একটি গোনাহ মাফ হয়ে যায় এবং অপরটির দ্বারা তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।’ (মুসলিম)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, সময় মতো জামাআতে নামাজ আদায় করা। হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভ করা। এ ছাড়াও জামাআতে নামাজ আদায়কারীর জন্য রয়েছে বহুগুণ বেশি সাওয়াবের ঘোষণা। আর তাহলো-

হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘একাকি নামাজের চেয়ে জামাআতে নামাজের ফজিলত সাতাশ গুণ বেশি।” অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘পঁচিশ গুণ বেশি।’ (বুখারি, মুসলিম)

তাই একাকি ঘরে বা রুমে নামাজ নয়, আজানের সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে মসজিদে গিয়ে জামাআতে নামাজ আদায় করে বহুগুণ সাওলাব লাভ করা জরুরি। কেননা এ সাওয়াবে অনেক নেয়ামত লাভ করে মুমিন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামাআতে নামাজ আদায় করে হাদিসে উল্লেখিত ফজিলত ও মর্যাদা লাভ করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।