মদিনায় নিয়ম মেনে লাখো মুসল্লির নামাজে অংশগ্রহণ
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবার জন্য মদিনার মসজিদে নববিতে নামাজের জামাআতে অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন খাদেমুল হারামাইন ওয়াশ শারিফাইন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল-সৌদ। মসজিদে নববি উন্মুক্ত হওয়ার প্রথম দিন জামাআতে অংশগ্রহণ করেছেন লক্ষাধিক মুসল্লি। হারামাইনডটইনফো-তে উঠে এসেছে লাখো মুসল্লির নামাজে অংশগ্রহণের অসাধারণ দৃশ্য। পবিত্র নগরী মদিনার মসজিদে নববিতে ৩১ মে রোববার থেকে শুরু হয়েছে নামাজ।
পবিত্র নগরী মদিনার মসজিদে নববিতে ৩১ মে রোববার থেকে শুরু হয়েছে নামাজের জামাআত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশগ্রহণ করার শর্তে মদিনার মসজিদে নববি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। প্রথম দিনই জামাআতে অংশগ্রহণ করেছেন লাখো মুসল্লি। এমন তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির গণমাধ্যম সৌদি গেজেটে।
এমনিতে মসজিদে নববিতে জামাআতে নামাজ আদায়কারীর সংখ্যা অনেক। তবে এ সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হয় মাগরিবের নামাজে। স্বাভাবিকভাবে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি মুসল্লি জামাআতে অংশগ্রহণ করেন।
মসজিদে নববিতে ফজরের নামাজে অংশগ্রহণ করার জন্য জামাআতের প্রায় ১ ঘণ্টা আগেই খুলে দেয়া হয় দরজা। মসজিদে প্রবেশের আগে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আবার ইশার নামাজের পরপরই বন্ধ করে দেয়া হয় মসজিদে নববির সব দরজা।
এদিকে মসজিদে নববির নামাজের অংশগ্রহণের জন্য মোট ১১টি দরজা খুলে দেয়া হয়। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ৭টি আর নারীদের জন্য ৪টি। আর তাহলো-
পুরুষদের জন্য খোলা থাকে- ৪নং আল-হিজরা গেট, ৫ নং কোবা গেট, ৮ নং কিং সৌদ গেট, ১০নং ইমাম আল-বুখারি গেট, ২১নং কিং ফাহাদ গেট, ৩৪নং কিং আব্দুল আজিজ গেট, ৩৭নং মক্কা গেট। আর সালাম গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে নারীদের জন্য ১৩, ১৭, ২৫ এবং ২৯ গেট দিয়ে মসজিদে নববিতে প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়েছে।
এদিকে মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ ছিল মদিনার মসজিদে নববি। দুই ধাপে সৌদি আরবের সব মসজিদ নামাজের জন্য খুলে দেয়া হবে। এর প্রথম ধাপ ৩১ মে রোববার মদিনার মসজিদে নববিসহ বেশ কিছু মসজিদ খুলে দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ২৮ শাওয়াল মোতাবেক ২০ জুন খুলে দেয়ার কথা রয়েছে বাকি মসজিদগুলো।
উল্লেখ্য, পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফও পর্যায়ক্রমে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। তবে সেখানে প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজে অংশগ্রহণের বিষয়টি একসঙ্গে অনুমোদন দেয়া হবে না বলে জানা গেছে। দিনের নির্ধারিত ওয়াক্ত ও সময়ে স্থানীয় সব মুসল্লির জন্য উন্মুক্ত করা হবে কাবা শরিফ। কাবা শরিফের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সর্বোচ্চ সর্তকতা মেনেই অবস্থার আলোকে ধীরে ধীরে উন্মুক্ত করা হবে মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ। সে অপেক্ষায় মুসলিম উম্মাহ...।
এমএমএস/এমকেএইচ