করোনা প্রতিরোধে ৩ তরুণের বিনামূল্যে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৮ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২০

প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাস থেকে থাকতে মাস্ক-এর ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাস্কের ব্যবহার অস্বস্তিবোধ হওয়ায় শিশু-কিশোররা তা পড়তে অনীহা প্রকাশ করে। শিশু-কিশোরদের মাস্ক-এর ব্যবহারের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ ফিলিস্তিনের তিন তরুণ।

মহামারি করোনায় মাস্ক-এর ব্যবহারের প্রতি শিশু কিশোরদের আকৃষ্ট করতে বিনামূল্যে শুধু মাস্ক বিতরণই করছে না বরং সেসব মাস্কে বিভিন্ন রঙের নানা চিত্রও অঙ্কন করছে তারা। মহামারি থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষা করতেই তিন তরুণ নিজ উদ্যোগে ব্যতিক্রমধর্মী এ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। খবর আরব নিউজ।

প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের ইতিমধ্যে বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চল ছড়িয়ে পড়েছে। ৩১ হাজর ৭৩৭ ব্যক্তি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা। আক্রান্ত হয়েছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৫ জন।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ তিন তরুণ শিল্পী ভাইরাস থেকে নিজেদের সুরক্ষায় মাস্ক তৈরিতে নিয়োজিত হন। মাস্ক তৈরি করে তারা থেকে থাকেনি। এ মাস্ক ব্যবহারের প্রতি উদ্বুদ্ধ হতে তাতে রঙের তুলি দিয়ে সুন্দর ডিজাইন করছে। যাতে শিশু-কিশোররা তা দেখেই নিজ থেকে পড়তে উদ্বুদ্ধ হয়।

jagonews24

ফিলিস্তিনের গাজার পূর্বাঞ্চলীয় শহর আল-শুজায়েয়ায় ছোট্ট একটি রুমে শৈল্পিক এ কাজ করে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি তরুণ ডুরঘাম কুরাইক(২৩) ও তার দুই বন্ধু সামাহ সাদ এবং তামির দিব।

তারা প্রতিদিন গড়ে ৪ ঘণ্টা সময় ধরে এসব মেডিকেল মাস্কে নানা দৃশ্যের চিত্র অঙ্কন করেন। এসব মাস্ক বিনামূল্যে শিশুসহ স্থানীয়দের মাঝে বিতরণ করেন।

ফিলিস্তিনি যুবক ডুরঘাম কুরাইক বলেন, প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে এ সংক্রামকব্যাধি আমাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। শিশু-কিশোরসহ সবাই যেন মাস্ক পরতে উদ্যোগী হয় এ জন্য এতে রঙ-বেরঙের চিত্রাঙ্কন করা।

উল্লেখ্য, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ফিলিস্তিনে ১০৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে একজন। সুস্থ হয়েছেন ১৮ জন।

এমএমএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।