ওহি কারা কিভাবে লিখতেন
আল্লাহ তাআলা মানবজাতির হিদায়াতের জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল ও মহাগ্রন্থ আলকুরআনও মানবজাতির হিদায়াতের জন্য প্রেরণ করেছেন। এ কুরআন দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে সময় ও অবস্থার প্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা নাজিল করেন। যারা এ কুরআনকে লিখিতভাবে সংরক্ষণ করেছেন, কিভাবে সংরক্ষণ করেছেন তাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ জাগো নিউজে তুলে ধরা হলো-
ওহির লেখক কারা ছিলেন
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট যখন কোন ওহি আসত তখন একদল সাহাবি ওহিগুলো বিভিন্ন জিনিসের উপর লিখে রাখতেন, এদেরকে কাতিবে ওহি বলা হত। তথ্যানুসন্ধানে পাওয়া যায়, প্রায় ৪২ জন সাহাবি ওহি লিখেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট হজরত জিব্রিল আলাইহিস সালাম কুরআনের যে অংশ যখন নিয়ে আসতেন, তা কোন সুরার কোন স্থানে সংযোগ করতে হবে তা তিনি বলে দিতেন। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন ওহি লিখক সাহাবিদের ডেকে অবতীর্ণ অংশকে সংশ্লিষ্ট সূরার নির্ধারিত স্থানে সংযোগ করার নির্দেশ দিতেন।
কাতিবে ওহিদের অন্যতম হলেন- হজরত যায়িদ ইবনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু। এ ছাড়া হজরত আবু বকর, হজরত উমর, হজরত উসমান, হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু, উবাই ইবন কা`ব, হজরত যুবাইর ইবনুল আওয়াম, হজরত মু`আবিয়া, হজরত আব্বাস ইবনু সা`ঈদ, হজরত আব্দুল্লাহ ইবন রাওয়াহা, হজরত ইবন মাসউদ, হজরত খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ, হজরত মুগীরা ইবন শু`বা ও হজর তহানযালা রাদিয়াল্লাহু আনহু[এর নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
ওহি লিখার উপকরণ-
যখন আল-কুরআন নাজিল হয়, তখনকার যুগে লেখার উপকরণ ছিল খুবই দুর্লভ। মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কৃত না হওয়ায় সাহাবিগণ নাজিলকৃত কুরআনের আয়াত খেজুরের ডাল, প্রস্তর খন্ড, চামড়া-উটের চামড়া, হাড়, কাপড়ের টুকরা, গাছের পাতা, বাকল, বাঁশের টুকরা, পশুর হাড়,পাথর-শিলা প্রভৃতি বস্তুর উপর লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষন করেন।
জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : [email protected]
জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস/আরআইপি