১০ হাজার উট না মেরে ইসলামি রীতিতে দান করার আহ্বান
খরা আর দাবানলে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া। পানি শূন্য হয়ে পড়ছে দেশটি। পানি পানের প্রয়োজনে বন্য উটগুলো লোকালয়ে আসতে শুরু করেছে। পানির খোঁজে উটের বিচরণের কারণে সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে বলেও জানান স্থানীয়রা। ফলে ১০ হাজার উট হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দেশটি।
এছাড়া মিথেন গ্যাস সৃষ্টির জন্যও দায়ী করা হচ্ছে উটকে। এ কারণে দেশটি ১০ হাজার উট মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়াকে ১০ হাজার উট মেরে ফেলার পরিবর্তে ইসলামি রীতিতে জবাই করে তা দান করার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপের দেশ তুরস্কের সরকারি মানবিক সহযোগিতা সংস্থা।
অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের আনানজু পিতজানৎজাতজারা ইয়ানকুনিৎজাতজারা ল্যান্ডস (এওয়াইপি) খুবই খরাপ্রবণ এলাকা। যে কারণে এ অঞ্চলে পানির খুব সংকট। এখানকার বন্য উটগুলো খুব বেশি করে পানি খেয়ে নিচ্ছে। ফলে স্থানীয়দের জন্য থাকছে না পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি।
সে কারণে বিশ্ব উষ্ণায়নের অজুহাতে এ অঞ্চলের অন্তত ১০ হাজার উট হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। হেলিকপ্টার থেকে বন্য উটগুলোকে গুলি করে মারা হবে বলে জানা যায়। অস্ট্রেলিয়াকে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক।
ফিলিস্তিনভিত্তিক গণমাধ্যম গাজা আল-আনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, তুরস্কের সরকারি মানবিক সহযোগিতা সংস্থা (আইএইচএইচ)এর সহকারি পরিচালক সিরকান নার্গিস ১০ হাজার উট গুলি করে না মেরে সে গুলোকে ইসলামি রীতি অনুযায়ী জবাই করে বিশ্বের দরিদ্র ও প্রয়োজনগ্রস্ত মানুষদের মাঝে বিতরণের আহ্বান জানিয়েছেন।
তুরস্কের আইএইচএইচ সংস্থাটি এ মর্মে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যে, অস্ট্রেলিয়া যেন তাদের এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসে। তারা এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও জানায় সংস্থাটি।
উল্লেখ্য যে, অস্ট্রেলিয়ায় গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে দাবানল। সম্প্রতি এ দাবানল ভয়াবহ আকার ধারণ করেছেন। দাবানলের আগুনের তীব্রতা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আগুনের উত্তাপে পশু-পাখিসহ নানান প্রজাতির প্রাণী ও সরিসৃপ মারা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ৫০ কোটি প্রাণী মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
শুধু বন্য প্রাণীই নয়, দাবানল লোকালয়েও ছড়িয়ে পড়ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২শ ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার ১০ হাজার উট না মেরে তা জবাই করে প্রয়োজনগ্রস্ত মানুষকে দান করার কাজে সহযোগিতা করলে নিঃসন্দেহে দেশটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হবে।
এমএমএস/এমকেএইচ