বিশ্ব ইজতেমায় আসছে মানুষ, জেলা জিম্মাদারদের উদ্দেশ্যে বয়ান শুরু
টঙ্গীর তুরাগ তীরের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা সন্নিকটে। ঈমানি চেতনা জাগ্রত করার মানসেই দেশ ও দেশের বাইরে থেকে এ ময়দানে সমবেত হয় মুমিন মুসলমান। ১০ জানুয়ারী শুক্রবার ইজতেমা শুরু হবে। বাদ ফজর শুরু হয়েছে জেলা জিম্মাদারদের উদ্দেশ্যে বয়ান।
আগামী ১০ জানুয়ারী শুক্রবার প্রথম পর্বে আলমি সাথীরা বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবে। ইতিমধ্যে ইজতেমা ময়দানে বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিদের আগমন শুরু হয়েগেছে। গতকালই প্রায় সব জেলার জিম্মাদাররা টঙ্গীর ময়দানে এসে উপস্থিত হয়েছেন। ৮ জানুয়ারি বাদ ফজর জেলার জিম্মাদারদের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ে দিক-নির্দেশনামূলক আলোচনা হয়েছে।
এদিকে মুসল্লিদের অবস্তানের জন্য মাঠ প্রায় প্রস্তুত। দেশব্যাপী আলেম-ওলামাদের ব্যাপক প্রচারণার ফলে এবারের আলমি ইজতেমা পর্বে অনেক মুসল্লির সমাগম ঘটার সম্ভাবনা থেকে ইজতেমার ময়দানে ২৪টি খিত্তার বাড়ানো হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমা ময়দান সংলগ্ন বেড়ি বাঁধের পশ্চিম পার্শ্বে, বাটা কোম্পানির মাঠে এবং হুন্ডা ভবনের খালি অংশও ইজতেমার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে তুরাগ নদীর উপরে সেনাবাহিনী ছয়টি অস্থায়ী ব্রীজও নির্মাণ করেছে।
এবারের ইজতেমা ময়দানে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকবে সাড়ে ৮ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবে।
উল্লেখ্য যে, প্রথম পর্বের ইজতেমা বাস্তবায়নে আলেম-ওলামারা নিরলস দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সাধারণ মুসলমানদেরও উচিত তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করা। আলেম-ওলামাদের দেখানো পথ ও মতের ওপর মেহনত করা এবং তাদের কল্যাণকামিতার মূল্যয়ন করা। সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। তবেই বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের আগমন সার্থক হবে।
এমএমএস/জেআইএম