বিশ্ব ইজতেমায় ভারতের যেসব মুরব্বি অংশগ্রহণ করবেন

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২০

১০ জানুয়ারি ২০২০ থেকে শুরু হবে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা। ইতোমধ্যে টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রায় ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। ২/১ দিনের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য বছরের এবারও ভারত থেকে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আলমি ইজতেমায় তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বিরা অংশগ্রহণ করবেন।

বিশ্ব ইজতেমার মূল আকর্ষণই থাকে ভারতের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের অংশগ্রহণ। গত কয়েকবছর ধরে নিজামুদ্দিন মারকাজের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর সঙ্গে বাংলাদেশ-ভারতসহ অনেক দেশের আলেমদের বিরূপ মনোভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। যার ফলে সাদ কান্ধলভিসহ ভারতের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় আলেমরাও আসতে পারেনি।

তবে এবারের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমায় ভারতের অনেক মুরব্বি আলেমের অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে বলে জানায় একটি সূত্র। সাধারণত ভারতের শীর্ষস্থানীয় আলেমরাই থাকেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

তাই এবারের ইজতেমায় ভারত থেকে যাদের অংশগ্রহণে সম্ভাবনা বেশি, তারা হলেন-

- মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।
- মাওলানা আহমদ লাট।
- মাওলানা জুহাইরুল হাসান।
- মাওলানা খোবাইবুল হাসান।
- মাওলানা ইসমাইল গোধরা।
- ডক্টর সানাউল্লাহ খান।
- হাকিম আব্দুল মান্নান।
- মাওলানা আব্দুর রহমান রাবিয়ানা।
- জনাব মো. ফারুক।
- ব্যাঙ্গালোর থেকে প্রফেসর আব্দুর রহমান মাদ্রাসী।
- দিল্লি থেকে জনাব সানোয়ার।
- আলী গড়ের মাওলানা আহমদ হুসাইন গোধরা।
- মাওলানা আকবর শরীফ।
- মুম্বাই থেকে মাওলানা ইউনুস এবং
মাওলানা উসমান কাকুসি।

এবারের ইজতেমা রেকর্ড সংখ্য মানুষের উপস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বিশ্ব ইজতেমার মাঠের পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে। আগের খিত্তাগুলোর সঙ্গে এবার অতিরিক্তি ১৪টি খিত্তা যোগ হয়েছে।

বিশ্ব ইজতেমা মাঠের প্রস্তুতি প্রায় শেষ
আয়োজকদের তথ্য মতে, ইতিমধ্যে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের ৯০ ভাগ কাজ শেষ। এখন চলছে সামিয়ানা টানানোর কাজ। শেষ পর্যায়ে রাস্তাঘাট মেরাত, পয়ঃনিষ্কাশন, বৈদ্যুতিক সংযোগ, শব্দ যন্ত্র (মাইক) ও লাইটিংয়ের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।

১৬০ একর জমি তথা প্রায় ২ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিশাল চটের প্যান্ডের নিচে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা।

ইতিমধ্যে বিদেশি মেহমানদের থাকার জায়গা, বয়ানের মঞ্চ, তাশকিল কামরার কাজ সম্পন্ন হয়েগেছে।

উল্লেখ্য যে, সেনাবাহিনীর সহায়তায় তুরাগ নদীতে তৈরি করা হয়েছে ৬ টি ভাসমান সেতু। ইজতেমার নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৫ স্তরে নিয়োজিত থাকবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পুলিশ। সিসি ক্যামেরা ও সাদা পোশাকের পুলিশও থাকবে ইজতেমার নিরাপত্তায়। আরও থাকবে অতিরক্তি পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্য ৮টি কন্ট্রোল রুম স্থাপন, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ১৫টি তোরণ স্থাপন, পুলিশের ১৪টি এবং র‌্যাবের ১০টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে।

পরিবেশ সংরক্ষণে থাকছে ব্লিচিং পাউডার, মশক নিধনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ও ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে থাকবে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা। এ বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১০-১২ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১৭-১৯ জানুয়ারি।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।