উইঘুরদের মসজিদে নামাজ পড়ায় পর্যটকরা আটক!

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫০ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

নির্যাতিত উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মসজিদে নামাজ পড়ায় এবার মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘বারনামা’র একজন সংবাদিকসহ একদল পর্যটককে আটক করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, অনুমতি ছাড়া এ পর্যটকরা উইঘুরদের মসজিদে নামাজ পড়ে। পর্যটকদের আটকের পর মালয়েশিয়া দূতাবাসের সহায়তা তাদের মুক্ত করা হয়।

মালয়েশিয়ার একদল পর্যটক চীন ভ্রমণে আসে। সেখানে তারা জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর অঞ্চলে যায়। সেখানে উইঘুরদের একটি মসজিদে নামাজ আদায় করে। আর তাতেই বাঁধে বিপত্তি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দাবি তারা অনুমতি না নিয়ে মসজিদে নামাজ আদায় করে।

মালয়েশিয়ায় ফিরে গিয়ে নিজেদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন এ পর্যটকদল। আটকাবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ারও তারা হতাশ ছিলেন। কারণ মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও তাদের নামাজ আদায়ের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল।

পর্যটক দলের এক সদস্য আরেফিন খির ফেসবুক পোস্টে জানায়, ‘চীনের উইঘুরে মসজিদে পেয়ে প্রথমেই আমরা খুশি হয়েছিলাম। সেখানে আমরা শান্তিতে নামাজ আদায় করি। নামাজ পড়ার পরই ঘটে বিপত্তি।

নামাজ শেষ করেই আমরা দেখতে পাই মসজিদের বাইরে সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে আছে। মসজিদ থেকে ওই পর্যটকদের অজানা একটি স্থানে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য চীনের ভ্রমণ গাইড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে।

তাদের আটকের বিষয়টি মালয়েশিয়ান হাইকমিশন পর্যন্ত চলে যায়। পরবর্তীতে ভ্রমণ গাইড কর্তৃপক্ষ ও দূতাবাসের সহযোগিতায় কয়েক ঘণ্টা পর তারা মুক্তি পায়।

পর্যটকদের সেই দলে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ‘বারনামার’ একজন সাংবাদিক ছিলেন। এ জন্যই তারা সহজে মুক্তি পায় বলে জানান পর্যটক দলের সদস্য খির আরেফিন।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।