মসজিদ নির্মাণের অনুমতি পেতে ১৩ বছর অপেক্ষা!

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

বিশ্বের সবচেয়ে উদার ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত আমেরিকা। দেশটির একটি আবাসিক এলাকা সান মার্টিন। এটি ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা ক্লারা কাউন্টিতে অবস্থিত। উদার গণতান্ত্রিক দেশের এ আবাসিক এলাকায় মুসলিমদের কেনা জায়গায় মসজিদ নির্মাণের অনুমতি পেতে ১৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। অবশেষে মসজিদ নির্মাণের অনুমোদন পেয়েছে মুসলিমরা।

সান মার্টিনের কিছু সংখ্যক স্থানীয়দের বিরোধিতায় দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে স্থানীয় প্রশাসন মসজিদ নির্মাণের অনুমোদন দেয়নি। এ ১৩ বছর সান মার্টিনের মুসলমিরা কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষা করে আসছে।

দীর্ঘ ১৩ বছর আগে সান মার্টিনের মুসলমানরা মসজিদ ও কবরস্থান নির্মাণের জন্য অনুমতি চেয়েছিল। সান্তা ক্লারা কাউন্টি স্টেট সুপারভাইজরি বোর্ড দীর্ঘ ১৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ৫৬৭ হেক্টর জমির উপর মুসলমানদের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমতি দিয়েছে।

২০০৬ সালে সান মার্টিনের মুসলিমরা মসজিদ ও কবরস্থান নির্মাণের জন্য এ জমিটি কিনে নেয়। এ জমির উপর কর্ডোভা সেন্টার নামে একটি মসজিদ, একটি ইসলামি সম্প্রদায় সেন্টার এবং একটি কবরস্থান নির্মাণ করার পরিকল্পনা ছিল।

মুসলিমদের কেনা এ জমিটির আশপাশের প্রতিবেশিদের আপত্তির মুখে দীর্ঘ ১৩ বছর আটকে থাকে মসজিদ, কবরস্থান ও ইসলামিক সেন্টার নির্মাণের কাজ।

প্রতিবেশিদের অভিযোগ ছিল, এখানে মসজিদ, কবরস্থান ও ইসলামিক সম্প্রদায় সেন্টার নির্মাণ করা হয়ে ট্রাফিক ও শব্দ দূষণ বেড়ে যাবে। এখানের পানিও দূষিত হয়ে যাবে। স্থানীয়দের এ অভিযোগের কারণে কর্তৃপক্ষ কমপ্লেক্স নির্মাণের অনুমতি দিতে বিলম্ব করে।

তবে সান মার্টিনের মুসলিমরা ঘোষণা করেছে যে, রাষ্ট্র এবং স্থানীয় মান এর কথা মেনেই তারা তাদের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ৩০ লাখ ডলার খরচ করে প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এ প্রকল্প নির্মাণে স্থানীয় মুসলিমদের জাতিগত ও ধর্মীয় কুসংস্কারের বিপক্ষেও লড়াই করতে হয়েছে।
ফলে দীর্ঘ ১৩ বছরের অপেক্ষার পর মুসলিমরা মসজিদ কমপ্লেক্স ও কবরস্থান নির্মাণে অনুমতি পেয়েছে।

গত ১৩ বছর ধরে সান মার্টিনের মুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে গুদাম ঘর ব্যবহার করতে হয়েছে। এখানে প্রায় ১০ হাজার মুসলিম বসবাস করে আসছে।

এমএমএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।