মাদরাসায় শুরু হয় যে দেশের নাগরিকদের প্রথম শিক্ষাজীবন

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৭ এএম, ০৬ নভেম্বর ২০১৯

বিশ্বের প্রতিটি দেশেই রয়েছে নানামুখী শিক্ষা ব্যবস্থা। মাদরাসা তথা ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে প্রত্যেক মানুষের প্রথম শিক্ষা জীবন শুরু হওয়ার ঘটনা সর্বাধিক মুসলিম দেশগুলোতেও বিরল। কিন্তু আফ্রিকার দেশ কোমোরোস ব্যতিক্রম। দেশটির প্রত্যেক নাগরিকের প্রথম শিক্ষাজীবন শুরু হয় মাদরাসায়। দেশটির পুরো নাম ‘ইউনিয়ন অব কোমোরোস’।

প্রাচ্যের মালয় দ্বীপপুঞ্জ এবং আফ্রিকার মরূভূমি থেকে পশ্চিমের অ্যাটলাস পর্বতমালাসহ মধ্য এশিয়ার সমতলভূমি পর্যন্ত ভূখণ্ডে অনেক ছোট বড় দ্বীপদেশ রয়ছে। এসব দেশের মধ্যে প্রায় ৫০-এরও বেশি দেশ মুসলিম অধ্যুষিত।

Komoros

এ দেশগুলোতে যেমন রয়েছে জনবহুল দেশ আবার রয়েছে কম জনসংখ্যা ও আয়তনের দেশও। কোমোরোসও একটি। এটি ৩টি বড় দ্বীপ- ঞ্জাজিজা (বৃহৎ কোমোর দ্বীপ), ঞ্জাওয়ানি ও মোয়ালি নিয়ে গঠিত। ১৯৭৫ সালের ৬ জুলাই থেকে দেশটি স্বায়ত্বশাসিত দেশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এর আগে এটি ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল।

ভারত মহাসাগরে অবস্থিত কতগুলি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র কোমোরোস দ্বীপপুঞ্জ । ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে দেশটি মোজাম্বিক চ্যানেলের উত্তর প্রান্তে মোজাম্বিক থেকে ২৯০ কিলোমিটার এবং মাদাগাস্কার থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কোমোরোস দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী ‘মোরোনি’ ঞ্জাজিজা দ্বীপে অবস্থিত।

Komoros

দেশটির আয়তন ১ হাজার ৮৬২ বর্গকিলোমিটার। রাষ্ট্রপতি শাসিত দেশটিতে কৃষি ও মাছই প্রধান আয়ের উৎস। ২০০৯ সালে দেশটির জনসংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৮ জন। দেশটির বর্তমান রাষ্টপতির হলেন আহমেদ আব্দুল্লাহ সামবি।

‘আর্মে ন্যাশনাল দ্য দেভেলপঁম’ নামে ছোট্ট একটি সামরিক বাহিনীও রয়েছে। ৫০০ সদস্য রয়েছে পুলিশ বাহিনীতে আর সামরিক বাহিনীতে রয়েছে ৫০০ সদস্য। এছাড়া ছোট একটি স্থল সেনাবাহিনীও রয়েছে দেশটির।

Komoros

কোমোরোস দ্বীপপুঞ্জের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। বেশির ভাগ মানুষই সুন্নি মুসলমান। আয়তনের দিক থেকে আফ্রিকার তৃতীয় ছোট দেশ কোমোরোস। ১৯৭৫ সালে স্বাধীন হওয়া দেশটিতে ২০ বার রাজনৈতিক অভুত্থান ঘটে। যার ফলে কয়েক শাসকের মৃত্যু ঘটে।

দেশটির প্রত্যেক নাগরিকেরই জীবন শুরু হয় মাদরাসার পড়াশোনায়। এ পড়াশোনায় আরবি ভাষাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। মাদরাসার পড়াশোনা শেষে উচ্চ শিক্ষা লাভে অন্য শিক্ষার দিকে ধাবিত হয় তারা।

Komoros

দেশটির দাফতরিক ভাষা হিসেবে কোমোরোস, আরবি ও ফরাসি ব্যবহার হয়। দেশটির নিজস্ব কোনো বর্ণমালা নেই। শিক্ষাজীবনে আরবি ও ল্যাটিন বর্ণমালা ব্যবহৃত হয়।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।