আইয়্যামে তাশরিকের মাসআলা
বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে শুরু করে সোমবার আসর পর্যন্ত অর্থাৎ ৯ই জিলহজ বাদ ফজর হতে ১৩ই জিলহজ বাদ আসর পর্যন্ত ২৩ ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবির বলা ওয়াজিব। এ পাঁচ দিনকে একত্রে আইয়্যামে তাশরিক বলে। তাকবির বলার রয়েছে কতিপয় মাসআলা। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-
১. নামাজের পর ইমাম তাকবির বলতে ভুলে গেলেও মুক্তাদির জন্য তাকবির বলা ওয়াজিব।
২. পুরুষেরা উচ্চ-মধ্যম স্বরে আর মহিলাগণ অনুচ্চস্বরে তাকবির বলবে। পুরুষ উচ্চ স্বরে না পড়ে আস্তে আস্তে পড়লে ওয়াজিব আদায় হবে না।
৩. নামাজের জামাআতে অংশগ্রহণকারী মাসবুক ব্যক্তি তার নামাজ আদায় করে তাকবির বলবে।
৪. মুসল্লি ফরজ নামাজের পর তাকবির বলতে ভুলে যায়। এবং অন্যকাজে মনোনিবেশ করার পর মনে হয় যে তাকবির বলেনি, অর্থাৎ (মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া, অথবা ভূলে বা ইচ্ছায় কথা বলা অথবা ইচ্ছা করে অজু ভঙ্গ করা) তবে তার উপর থেকে তাকবির বলা রহিত হয়ে যাবে।
৫. ঈদুল আজহার নামাজান্তে তাকবিরে তাশরিক বলা উত্তম।
৬. আইয়ামে তাশরিকের (এ ৫ দিনের) মধ্যে কারো নামাজ কাজা হলে, এ দিনগুলোর মধ্যে কাজা আদায় করলে তাকবিরে তাশরিক আদায় করতে হবে।
পরিশেষে...
প্রত্যেক বালিগ পুরুষ মহিলা, মুকিম, মুসাফির, গ্রামবাসী, শহরবাসী, জামায়াতে বা একাকি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পড়ে ওয়াজিবআদায় করি। আল্লাহ আমাদেরকে আইয়ামে তাশরিকের হক আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস/পিআর