কারাগারেই ১৫ মাসে পুরো কুরআন মুখস্থ করলেন মাদক পাচারকারী!

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৬ এএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৯

মাদক পাচারের অপরাধে কারাগারে বন্দি আব্দুল কাদের গিলানি। কারাদণ্ড শেষ হওয়ার আগেই তিনি মাত্র ১৫ মাসে পুরো কুরআনুল কারিম মুখস্থ করার সৌভাগ্য অর্জন করেন।

তুর্কি গণমাধ্যম ‘ইয়েনি শাফাক’-এর তথ্য মতে, মাদক পাচারের অপরাধে ১৮ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন আব্দুল কাদের গিলানি। দেড় বছর সাজা হওয়ার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, পুরো কুরআনুল কারিম মুখস্থ করবেন। মাদকের অন্ধকার জগত থেকে আলোর পথে ফিরবেন।

তুরস্কের এ বন্দি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে মাত্র ১৫ মাসে কারাগারে বসেই সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছেন।

তুরস্কের কোনিয়া কারাগারে বন্দি আব্দুল কাদের গিলানি নিজে কুরআন মুখস্থ করেই থেমে থাকেন নি। তিনি কারাগারে বন্দি আরও ১৩ জন কয়েদিকে কুরআন হেফজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছন। যাতে কারাগারে কুরআন হেফজের এ পদ্ধতি চালু থাকে। তারাও পবিত্র কুরআন মুখস্ত করতে সক্ষম হয়েছেন।

আব্দুল কাদের গিলানির ভাষায়, ‘আমাকে ১৮ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সাজা পাওয়ার পর আমার বিশ্বাস জন্মে যে, এ সাজার মধ্যে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তবে আমি কখনোই চিন্তা করেনি যে, একদিন আমি পুরো কুরআন হেফজ করতে সক্ষম হবো।’

‘আদালতে যেদিন আমার অপরাধের রায় ঘোষণা হয়, সেদিনই আমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি যে, কুরআন মুখস্থ করবো। এ সিদ্ধান্তকে সফল করতেই আমি কারাগারের ব্যবস্থাপনা দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমাকে পবিত্র কুরআনুল কারিম হেফজ করতে পুরোপুরি সহযোগিতা করেন। তাদের সহযোগিতা ও আমার ঐকান্তি ইচ্ছায় পুরো কুরআন হেফজ করার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জেলখানায় কয়েদিদের মাঝে কুরআন মুখস্তের এ ধারা অব্যাহত রাখতেই আব্দুল কাদের গিলানি ১৩ জন কয়েদিকে কুরআন মুখস্ত করার কৌশল ও পদ্ধতির প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তারাও কুরআন হেফজ করতে সক্ষম হয়েছেন।

বিশ্বের প্রতিটি জেলখানায় এ ধারা অব্যাহত থাকলে নিঃসন্দেহে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে। কুরআনের আলোকিত জীবনের সন্ধান পাবে মানুষ।

এমএমএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।