সম্রাট আকবরের রাজধানী ‘ফতেপুর সিকরি’ এখনও দেখতে যেমন

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পৃথিবীর ইতিহাসে সম্রাট আকবর এক ঐতিহাসিক নাম। ‘দ্বীন-ই-ইলাহি’ খ্যাত বাদশাহ আকবর ছিলেম মোগল সম্রাট। তার রাজধানী ছিল ফতেপুর সিকরি। দিল্লির আগ্রায় অবস্থিত তাজমহল থেকে মাত্র ৩৬ কিলোমিটার দূরেই ঐতিহাসিক ফতেপুর সিকরি। মোগল সাম্রাজ্যের হাজারো স্মৃতি বহন করে এই ফতেপুর সিকরি।

আজ থেকে ৪৫০ বছর আগে ১৫৬৯ খ্রিষ্টাব্দে বাদশাহ আকবরের রাজধানী ছিল ফতেপুর সিকরি। ফতেপুর সিকরিজুড়ে রয়েছে বহু স্মৃতিচিহ্ন, সমাধি সৌধ, দুর্গ, মসজিদ, স্নানাগার, অট্টালিকা এবং পাথর আর পাথর।

Fatehpur

ফতেপুর সিকরির অট্টালিকা, দালান ও মসজিদে এখনও ইতিহাসের দাগ লেগে আছে। এখানকার দুর্গগুলো বেলে পাথর দিয়ে তৈরি। রয়েছে রক্তবর্ণের বিশাল প্রাসাদ। এ প্রাসাদের মূল গেটের উচ্চতা প্রায় ৫৪ ফুট। এ তোরণকে এশিয়ার সবচেয়ে উঁচু তোরণ হিসেবে গণ্য করা হয়। এর চারপাশের জায়গা ও স্থাপনাগুলো দেখার মতো।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, বাদশাহ আকবরের রাজধানী ফতেপুর সিকরিতে এখন আর থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই তো দর্শনার্থীদের সকাল সকাল সেখানে যেতে হয়। আবার সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসতে হয় আগ্রায়।

Fatehpur

বাদশাহ আকবর ছিলেন ‘দ্বীন-ই-ইলাহি’র প্রবর্তক। এ ফতেপুর সিকরিতেই তিনি দ্বীন-ই-ইলাহি প্রবর্তন করেন। গড়ে তোলেন মসজিদসহ ‘দ্বীন-ই-ইলাহি’র ইবাদতখানা। ফতেপুর সিকরির এ ইবাদতখানার সামনে আজও বাদশাহ আকবরের বিভিন্ন কীর্তি জানাতে রয়েছে অনেক লোক।

Fatehpur

ফতেপুর সিকরিতে রয়েছে একটি মাজার। এটিকে সেলিম চিশতির মাজার হিসেবে সবাই চেনে। মূল্যবান শ্বেতপাথরে নির্মিত এ মাজার। সারা বিশ্ব থেকে আগত অনেক দর্শনার্থীই ফতেপুর সিকরি দেখতে আসে।

Fatehpur

ফতেপুর সিকরিতে রয়েছে সুন্দর সুন্দর ভাস্কর্যে ভরা জামে মসজিদ। মসজিদগুলো আজও বাদশাহী আমলের ঐতিহ্যের জানান দেয়। মসজিদের দরজাগুলো দেখার মতো সুন্দর।

Fatehpur

কথিত আছে, এ মসজিদেই নামাজ পড়তে আসতেন সম্রাট আকবর। মোগল সাম্রাজ্যের ইতিহাসমৃদ্ধ মসজিদ, স্নানাগার, স্মৃতিসৌধ, বিশাল অট্টালিকা, ইবাদতখানা ও সেলিম চিশতির মাজার এখনও বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

এমএমএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।