মুসলিমদের গরু কুরবানি দিতে নিষেধ করলেন মন্ত্রী!

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৬ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৯

গরু হিন্দুদের দেবতা। তাই হিন্দুদের ভাবাবেগের প্রতি সম্মান জানাতে মুসলিমদের গরু কুরবানি না করার আরজি জানিয়েছেন তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেহমুদ আলি। তিনি মুসলিমদের বকরি কিংবা ছোট জন্তু কুরবানির কথা বলেছেন।

রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেহমুদ আলি টিআরএস তথা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সদস্যপদ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এ আবেদন জানান। তিনি মুসলমানদের গরুর বদলে অন্য কোনও পশু, যেমন ছাগল বা ছোট কোনও জন্তু কুরবানির করারও পরামর্শ দেন।

মন্ত্রী বরেন, ‘আসন্ন কুরবানির ঈদে মুসলিমদের উচিত, গরু কুরবানি থেকে বিরত থাকা। কারণ এ দেশের একটা বড় সম্প্রদায় গরুকে দেবতা রূপে পুজো করে৷ সুতরাং সংখ্যালঘু মুসলমানদের উচিত বড় সম্প্রদায়ের লোকদের ভাবাবেগকেও সম্মান জানানো৷

রাজ্য সরকারের এ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ‘গরু কুরবানি করা নিয়ে যদি কোনো অশান্তি তৈরি হয়, তাহলে আইন নিজের কাজ করবে৷ সেক্ষেত্রে মুসলিমদেরও ছেড়ে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।

গরু কুরবানি নিয়ে তেলেঙ্গানা রাজ্যে কোনো অশান্তি কিংবা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হোক তা তিনি চান না বলেও জানান। কুরবানির ফলে অশান্ত পরিবেশ তৈরি হলে পুলিশ কঠোরতার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করবে বলে জানান মেহমুদ আলির৷

গত বছরের কুরবানির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গত কুরবানির ঈদেও তেলেঙ্গানার একটা অংশে অশান্ত ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল। আর তাতে নাগরিক নিরাপত্তায় পুলিশকে নিতে হয়েছিল কঠোর পদক্ষেপ।

সংবাদ মাধ্যমে রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেহমুদ আলী সম্প্রীতি উদাহরণ তুলে ধরে ঐতিহাসকি চার মিনারের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন-
‘চারমিনার হিন্দু, মুসলিম, শিখ ও খ্রিষ্টানদের ঐক্য ও সম্প্রীতির প্রতীক। ঐতিহাসিক ‘চারমিনার’ স্থাপনার চারটি পিলার এই চার ধর্মের প্রতীক হয়ে আজোও দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে শান্তির বার্তা দেন মেহমুদ আলি৷

উল্লেখ্য যে, আগামী ১১ আগস্ট দেশজুড়ে মুসলিমদের কুরবানির ঈদ পালিত হবে। তাতে সাম্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য মন্ত্রীর এ আবেদন।

এমএমএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।