এবারের হজে বহু ভাষায় মিলবে ‘৯১১’-এর জরুরি সেবা

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৯ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৯

হজের সময় সারাবিশ্ব থেকে লাখ লাখ মুমিন মুসলমান পবিত্র নগরী মক্কায় একত্রিত হয়। আর বিভিন্ন কারণে এ সময়টিতে প্রয়োজন হয় জরুরি সেবা। এবার হজ পালনকারীরা বিভিন্ন ভাষায় ‘৯১১’-এ সমস্যা জানিয়ে দ্রুত সময়ে পাবেন কাঙ্ক্ষিত জরুরি সেবা। আর এ সেবা গ্রহণ করা যে কারও জন্যই জরুরি হতে পারে। খবর আরব নিউজ।

হজ পালনের সময় যদি কারো কোনো জরুরি সেবার প্রয়োজন হয় আর তা সমাধানে কোনো নাম্বার না থাকে তবে শুধু ৯১১ নম্বরে কল করলেই মিলবে জরুরি সেবা।

হজের সময় আপনি হারিয়ে গেছেন কিংবা কোনো দিক-নির্দেশনার প্রয়োজন, আপনার সঙ্গীদের হারিয়ে ফেলেছেন, আপনার সামানা হারিয়ে ফেলেছেন, আপনি অসুস্থ হয়ে গেছেন- এসব বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছে একদল তরুণ সৌদি সেবক দল। যাদের পেতে কল করুন- ৯১১ নাম্বারে।

উল্লেখ্য যে, জরুরি সেবা কেন্দ্রে কর্মরত তরুণরা বিভিন্ন ভাষা বুঝতে সক্ষম। যে কোনো ভাষাভাষির মানুষই ৯১১-এ কল করে জরুরি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

ইংরেজি, ফরাসি, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়ান, বাংলা, উর্দুসহ বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে পারে এ জরুরি সেবাদানকারী দলটি। ৯১১-এর জরুরি সেবাটি প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টাই সচল থাকবে।

হজযাত্রীদের মোবাইলে একটি ম্যাসেজ বা বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। আর তাতে লেখা হয়েছে-
‘প্রিয় হজ পালনকারী! আপনার সেবা করা সম্মানের এবং আপনার নিরাপত্তা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। পুলিশে কর্মরত ব্যক্তিরা আপনার জরুরি সেবা ও সহযোগিতায় প্রস্তুত। প্রয়োজনে কল করুন- ‘৯১১’ নাম্বারে।’

উল্লেখ্য যে, ৫ বছর আগে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজ পালনকারীদের জন্য ‘৯১১’ কল সেন্টার চালু করেছিল। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

তবে এ বছর এ কল সেন্টারটিকে মাল্টিল্যাংগুয়াল তথা বহু ভাষাভাষি মানুষের অভিযোগ ও প্রয়োজন শুনতে অনেক ভাষায় দক্ষ কর্মী নিয়োগ করেছে।

যে কারও জন্য ৯১১ সেবা সেন্টার জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত কার্যকর ভূমিকা রাখতে সহায়ক বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আশা করা যায়, এবারের ৯১১ সেবা সেন্টারের বহু ভাষাভাষি মানুষের অভিযোগ গ্রহণের বিষয়টির কারণে হজ পালনকারীরা দ্রুত সেবা পাবে।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।