মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ!
জোরপূর্বক হিজাব (স্কার্ফ) খুলে স্কুলে ঢুকতে বাধ্য করা হচ্ছে নাইজেরিয়ার মুসলিম শিক্ষার্থীদের। নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ‘ইবাদান দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’-এ ঢুকতেই স্কুলের নিরাপত্তা প্রহরী ও শিক্ষকরা মুসলিম মেয়েদের মাথায় পরা স্কার্ফ খুলে ফেলার নির্দেশ দেয়। সাইবার স্প্যাসের ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে এ ঘটনা দেখা যায়। খবর আনাদুলো এজেন্সি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এ ভিডিও নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের ওপর অনেকেই প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অধিকাংশ নাইজেরিয়ান ধর্মীয় এ নিয়মের ব্যাপারে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্কুলের এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর মা চিৎকার করে শিক্ষককে বলছিলেন, ‘তাদেরকে (মেয়ে শিক্ষার্থীদের) জাহান্নামে পাঠিয়ে দাও।’ এ অভিভাবক আরও বলেন, ‘স্কুলের এ কর্মকাণ্ড দেশটিতে জাতীয় সংকট তৈরি করবে।’
তবে স্কুলের শিক্ষক বলেছেন, ‘শিশুরা স্কুল প্রাঙ্গনের বাইরে মাথা ঢেকে রাখতে স্কার্ফ পরতে পারবে।
পাবলিক বিষয়ক বিশ্লেষক জিম্বা কাকান্ডার মতে, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষের এ পদক্ষেপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বৈষম্য হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি এক টুইট বার্তায় লেখেন-
‘ইবাদানের দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুল শিক্ষার্থীদের এই ভিডিওতে স্কুল প্রাঙ্গণে প্রবেশের আগে তাদের হিজাবগুলো খুলে ফেলতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা যেকোনো ধরনের বৈষম্য মুক্তির লড়াইয়ের জন্য বিপজ্জনক। হেডস্কার্র্ফ নিষিদ্ধ করা একটি ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বৈষম্য’।
উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালে নাইজেরিয়ার আদায়ত ‘হিজাব’ সম্পর্কে একটি মাইলফলক রায় ঘোষণা করেছিল। নাইজেরিয়ার আপিল আদালত রায় দেয় যে, ‘সংবিধান অনুযায়ী হিজাব একটি আইনি অধিকার। অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম নারীরা হিজাব ব্যবহার করতে পারবে। আদালত তখন নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় লাগোস প্রদেশে হিজাব নিষেধাজ্ঞা জারি বাতিল ঘোষণা করেছিল।
নাইজেরিয়ার সরকার ইতোমধ্যে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। এ ছাড়াও সম্প্রতি ইবাদান স্কুলের হিজাব সঙ্কট মামলার বিষয়েও কথা উঠছে।
এমএমএস/জেআইএম