শ্রীলঙ্কায় সেনাপ্রহরায় মুসল্লিদের নামাজ আদায়

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৬ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডের দিনে গির্জা এবং জনপ্রিয় বেশকিছু হোটেলে ভয়াবহ বোমা হামলার পর শ্রীলঙ্কায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে ব্যস্ত নগরী কিংবা বড় বড় মসজিদেও গতকাল শুক্রবার সেনাপ্রহরায় কোলাহলহীন নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। খবর রয়টার্স।

ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি প্রকাশ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে মুসলিম সম্প্রদায়কে মসজিদে না এসে জুমআর নামাজ বাড়িতে নিজ নিজ ঘরে আদায়ের অনুরোধ করেছিলেন দেশটির সরকার ও মুসলিম রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্বশীল মোহাম্মাদ হাসিম আব্দুল হালিম।

জুমআর দিন যখন মসজিদে আজানের ধ্বনি আসে, তখন শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর রাস্তায় দেখা যেত ভিন্ন চিত্র। গতকাল শুক্রবার যেন ছিল এক অচেনা চিত্র। নিভৃত পল্লীতে পরিণত হয়েছে দেশটির সব ব্যস্ত ও কোলাহলপূর্ণ মসজিদ আঙিনা। নিরাপত্তার স্বার্থে মসজিদগুলো ঘিরে ছিল কড়া সেনাপ্রহরা।

সাধারণত মসজিদ অঙ্গনে এমন দৃশ্য কোনো মুসলিম আগে কখনো দেখেনি। অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে সেনা বাহিনীর জওয়ানরা মসজিদের আশপাশ পাহারা দিচ্ছিলেন। আর নামাজ পড়তে আসা মুসলিমদের বলছিলেন যেন দ্রুততার সঙ্গে নামাজ আদায় করে ঘরে ফিরে যায়।

সরকার ও মুসলিম রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে নিজ নিজ ঘরে নামাজ আদায় করতে বললেও শত শত মুসল্লি শুক্রবার বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে জমায়েত হন। সেনাবাহিনীর নির্দেশ মোতাবেক দ্রুততার সঙ্গে নামাজ আদায় করার পাশাপাশি দেশের সব ধর্মের মানুষের শান্তি কামনা করে তারা মোনাজাত করেন।

উল্লেখ্য যে, মুসলিমরা শ্রীলঙ্কায় ধর্মীয় দিক থেকে সংখ্যায় অনেক কম। ইস্টার সানডে হামলার পর শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন শহরে বসবাসরত স্থানীয় ও বিদেশি মুসলিমরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে আবার নিজ নিজ বাসস্থান ত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয়ে বেরিয়ে পড়েছে।

বিশেষ করে নিগম্বোতে অবস্থানকারী স্থানীয় ও বিদেশি অনেক মুসলিম বাড়ি-ঘর ছেলে পালিয়েছে। অনেক মুসলিম জানায় যে, তারা একটি ভয়ার্ত পরিবেশের মধ্যে অবস্থান করছেন। শ্রীলঙ্কান পুলিশ নিগম্বো মসজিদগুলোতে নিরাপত্তা প্রহরায় নিয়োজিত রয়েছে।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।