আয়াতুল্লাহ শাহরুদির ইন্তেকাল

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২২ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

বিশিষ্ট আলেম ও সাবেক বিচার বিভাগের প্রধান, ইরানের নীতি নির্ধারণী পরিষদের প্রেসিডেন্টে আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মাহমুদ হাশেমি শাহরুদি (৭০) তেহরানের খাতামুল আম্বিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধনি অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আয়াতুল্লাহ শাহরুদি ইরানের নীতি নির্ধারণী পরিষদের প্রেসিডেন্ট ও বিচার বিভাগের সাবেক প্রধান ছিলেন। বিগত কয়েক মাস ধরে অসুস্থতায় তিনি তেহরানের খাতামুল আম্বিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আয়াতুল্লাহ শাহরুদি ১৯৪৮ সালে ইরাকের নাজাফ শহরের জন্মগ্রহণ করলেও তিনি ছিলেন একটি ইরানি ধর্মীয় পরিবারে সন্তান। নাজাফের প্রখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার পড়ালেখার হাতেখড়ি।

৬০-এর দশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনিকে তৎকালীন স্বৈর শাসক শাহ সরকার ইরাকের নাজাফে নির্বাসনে পাঠান। ইমাম খোমেনি নাজাফে ধর্মতত্ত্বের ওপর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেয়া শুরু করেন। আয়াতুল্লাহ শাহরুদি ইমাম খোমেনির সেসব ক্লাসে অংশগ্রহণ করেন।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের আয়াতুল্লাহ শাহরুদি ১৯৭৯ সালে ইরানে আসেন। ইরান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৪ সাল থেকে টানা পাঁচবার তিনি ইরানের সাংবিধানিক অভিভাবক পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৯ সালের আগস্ট থেকে ২০০৯ সালে আগস্ট মাস পর্যন্ত ১০ বছর তিনি ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপামি তিনি ইরানের প্রভাবশালী বিশেষজ্ঞ পরিষদেও তিন মেয়াদে সদস্য ছিলেন।
২০১৭ সালের ১৪ আগস্ট আয়াতুল্লাহ শাহরুদি ইরানের নীতি নির্ধারণী পরিষদের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই দায়িত্ব পালন করেন।

তার মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী, প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, বিচার বিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ আমুলি লারিজানি, পার্লামেন্টে স্পিকার ড. আলী লারিজানি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ।

আয়াতুল্লাহ শাহরুদির মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী শোক, সমবেদনা মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল পালিত হচ্ছে। আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।