জামাআতে প্রথম তাকবিরসহ নামাজ পড়বেন কেন?
গোনাহমুক্ত জীবন লাভের একমাত্র হাতিয়ার জামাআতে নামাজ আদায়। যারা নামাজ পড়ে না কিংবা নামাজের ব্যাপারে অবহেলা করে, তাদের ব্যাপারে অনেক অশান্তি, অকল্যাণ, ভীতি ও আজাবের কথা কুরআন ও হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে।
আবার অনেক আয়াত ও হাদিসে নামাজ আদায়ের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে । কিন্তু মুনাফেকি মারাত্মক অপরাধ। এ অপরাধে জড়িত ব্যক্তি জাহান্নামের সবচেয়ে নিচে অবস্থান করবে।
এ ‘মুনাফেকির অপরাধ ও জাহান্নামের শাস্তি’ থেকে মুক্ত থাকতে হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বোত্তম ও সহজ উপায় ঘোষণা করেছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য তাকবিরে উলা তথা প্রথম তাকবিরসহ ৪০ দিন জামাআতে নামাজ আদায় করবে তার জন্য ২টি নিষ্কৃতি বা মুক্তি (পুরস্কারের ঘোষণা) রয়েছে।
> জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি এবং
> মুনাফেকি থেকে মুক্তি।’ (তিরমিজি)
উল্লেখিত হাদিসে নামাজি ব্যক্তির ২টি কাজের দু’টি বড় পুরস্কারের ঘোষণা এসেছে। একজন মুমিন মুসলমানের জন্য এর চেয়ে বড় পুরস্কার হতে পারে না।
কাজ দুটি হলো-
> তাকবিরে উলার সঙ্গে নামাজ আদায় করা। অর্থাৎ জামাআতে প্রথম তাকবিরের সঙ্গে নামাজে অংশগ্রহণ করা।
> ৪০ দিন একাধারে জামাআতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা।
প্রাপ্তি হলো
> জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি এবং
> মুনাফেকি থেকে মুক্তি।
আরও পড়ুন > তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম
কারণ
বর্তমান সময়ে নেফাকি থেকে বেঁচে থাকা অনেক কঠিন। ঠিক যতটা কঠিন হাতের মুঠোয় আগুণের কয়লা ধারণ করা। যে ব্যক্তি নেফাকি থেকে মুক্ত থাকতে চায়, তার উচিত হাদিসে পাকের এ ঘোষণা অনুযায়ী ৪০ দিন নিয়মিত তাকবিরে উলাসহ নামাজ আদায় করা।
শুধু তাই নয়, নেফাকির শাস্তি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয় নেফাকে জড়িত ব্যক্তিরা (মুনাফিক) জাহান্নামের সর্ব নিম্ন স্তরে অবস্থান করবে।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১৪৫)
সুতরাং এ হাদিস থেকে একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে, মুনাফেকি ও মুনাফেকির শাস্তি থেকে মুক্ত থাকতে এ হাদিসের আমলের বিকল্প নেই। যারা মুনাফেকির এ শাস্তি থেকে মুক্ত থাকতে নিয়মিত ৪০ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে জাহান্নামের আগুণ থেকে নিষ্কৃতি দান করবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মুনাফেকি ও মুনাফেকির শাস্তি থেকে মুক্ত থাকতে প্রিয়নবি ঘোষিত পন্থায় ৪০ দিন একাধারে প্রথম তাকবিরে অংশগ্রহণ করে জামাআতের সঙ্গে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ