তারা ফিরছেন না, ফিরেছে তাদের টুকরো টুকরো স্মৃতি

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:১৪ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে যারা চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন তারা আর কখনই পরিবার পরিজনের কাছে ফিরে আসবেন না। তাদেরকে মক্কা, মদিনা ও জেদ্দার বিভিন্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। কারও কারও স্বজন দাফনের সময় উপস্থিত থাকতে পারলেও অনেকে সময় স্বল্পতার জন্য মরদেহ রেখে দেশে ফিরেছেন।

হজ করতে গিয়ে যারা মারা গেছেন তারা আর ফিরে না আসলেও তাদের টুকরো টুকরো স্মৃতিবহনকারী ব্যবহার্য বিভিন্ন পোশাকাদি যেমন- শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, পায়জামা, জুতো, ঘড়ি, চশমা, শাড়ি, সালোয়ার, কামিজ, ভ্যানিটি ব্যাগসহ লাগেজ আজ (২১ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার) থেকে দেশে ফিরছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শেষ ফ্লাইট পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানে এসব লাগেজ দেশে ফিরবে।

জেদ্দায় মৌসুমী হজ অফিসার হিসেবে কর্মরত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাখাওয়াত হোসেন জানান, এসব লাগেজ বিমানবন্দরে রাখা হবে। তারা ব্যক্তিগতভাবে লাগেজের মালিকের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে সেগুলো নিয়ে যেতে অনুরোধ জানাবেন।

লাগেজের মোট সংখ্যা কত -জানতে চাইলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সঠিক সংখ্যা জানা নেই বলে জানান। তবে জেদ্দা বিমানবন্দরে আপাতত এ সংখ্যা ৪০ এর কম হবে না বলেও জানান তিনি।

প্রতিদিন মক্কা ও মদিনা থেকে লাগেজ আসছে উল্লেখ করে শাখাওয়াত হোসেন আরও জানান, শুধু মৃত হাজিদেরই নয়, যে সকল হাজির লাগেজ কোনো কারণে সাথে যায়নি, যারা লাগেজ খোয়া যাওয়ার অভিযোগ করেছেন -সেই সব প্রাপ্ত লাগেজও পাঠানো হচ্ছে।

চলতি বছর হজ পালনে গিয়ে সৌদি আরবে সর্বমোট ১৩৯ জন ইন্তেকাল করেছেন। তাদের মধ্যে ১১৮ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে আবার মক্কায় ৮৪ জন, মদিনা ২২ জন, জেদ্দায় ৫ জন, মিনায় ১৮ জন ও আরাফায় ১০ জন মারা যান।

হজে গিয়ে সৌদি আরবে কারো মৃত্যু হলে মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। এ বিষয়ে পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি থাকবে না বলে আগেই অনুমতি দেয়া হয়।

এমইউ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।