মক্কার হারাম সীমানায় হাজিদের যে কাজগুলো নিষিদ্ধ

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৮

হজ আর্থিক এবং শারীরিক ইবাদত। আর নারীদের জন্য অতিরিক্ত শর্ত মাহরাম আবশ্যক। শারীরিক সঙ্গতির সঙ্গে বর্তমান সময়ে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। তাই হজ পালনে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কোনোভাবেই যেন হারামের সীমানায় এমন কোনো কাজ সংঘটিত না হয়, যাতে হারামের মর্যাদা বিনষ্ট হয় কিংবা হজের ক্ষতি হয়।

এমন অনেকেই আছেন যাদের ওপর হজ ফরজ নয়; কিন্তু আল্লাহর প্রেমে সাড়া দিতে অনেক কষ্ট করে হজ পালনে পবিত্র নগরী মক্কায় গমন করে। এক্ষেত্রে তাদের জন্য আরো বেশি সতর্ক হওয়া জরুর্ কারণ হজ তাদের জন্য ফরজ ছিল না। যখনই হজের নিয়তে বের হবে, আর কোনো কারণে হজ পরিপূর্ণ হবে না; তাদের জন্য পুনরায় হজ করা আবশ্যক হয়ে যাবে। চাই সামর্থ থাকুক কিংবা না থাকুক।

বিজ্ঞাপন

‘হারাম’ সীমানার মর্যাদা রক্ষা

যে কোনো মুসলমান নারী-পুরুষ; সে মুহরিম হোক কিংবা গায়রে মুহরিম হোক অথবা সামর্থবান হোক কিংবা সামর্থ না থাকুক; সেখানে তাদের যে কাজগুলো করা হারাম তাহলো-

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

- শিকারযোগ্য যে কোনো হালাল জানোয়ার হত্যা করা হারাম।
- শিকারযোগ্য প্রাণী হত্যার জন্য অস্ত্র সরবরাহ কিংবা ইসারা করে দেখিয়ে দেয়ার দ্বারা সাহায্য করাও হারাম।
- হারাম সীমানায় গাছ কাটা এমনকি তাজা ঘাস কাটা বা ছেঁড়াও হারাম।
- হারাম সীমানায় কোনো জিনিস পড়ে থাকলে সেটা ওঠানোও যাবে না। তবে ওই ব্যক্তি তা ওঠাতে পারবে; যে তার প্রকৃত মালিকের সন্ধান দিতে পারবে।

হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন-

‘এই শহর অর্থাৎ মক্কা নগরী আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়া কেয়ামতের দিন পর্যন্ত হারাম। উহার গাছ কাটা, শিকারযোগ্য জানোয়ারকে বিতাড়ণ করা এবং তাজা ঘাস কাটা যাবে না; পড়ে থাকা দ্রব্য-সামগ্রীও ওঠানো যাবে না; কেবল ওই ব্যক্তি ছাড়া, যে উহার হারানো বস্তু সম্বন্ধে যথারীতি প্রচার ও ঘোষণা করতে প্রস্তুত থাকবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র কাবা শরিফ ও মসজিদে হারাম এলাকাই হারাম নয় বরং মিনা মুজদালিফাও হারাম সীমানার অন্তর্ভূক্ত। তবে আরাফাতের ময়দান হারাম সীমানার অন্তর্ভূক্ত নয়।

সুতরাং হজপালনকারীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে যে, কোনোভাবেই যেন হারাম সীমানার পাশাপাশি হজের দিনগুলোতে এবং ওমরা পালনের সময় উল্লেখিত কাজগুলো তাদের দ্বারা সংঘটিত না হয়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজ ও ওমরা পালনের নির্ধারিত দিন ও সময়ে হারাম সীমানায় হারামের মর্যাদা রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। হারাম সীমানা নিষদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বিজ্ঞাপন

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।