নামাজ ও জাকাত কোন ধরনের ইবাদত
দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় শুভ পরিণতি শুধুমাত্র মুমিন বান্দার জন্য নির্ধারিত। কুরআনুল কারিমের অনেক জায়গা আল্লাহ তাআলা মুমিনদের শুভ পরিণতি ও প্রতিদানের কথা সুস্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেছেন।
যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছেন, আসামানি কিতাবসমূহের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছেন। যারা এ কথার প্রতিও বিশ্বাস স্থাপন করে যে, সুদ প্রথা হারাম এবং ব্যবসা বাণিজ্য হালাল। আল্লাহর যাবতীয় নির্দেশগুলোকে যথাযথভাবে মেনে চলে এবং অন্যায় ও নিষেধগুলো থেকে বিরত থাকে। তাদের জন্য রয়েছে প্রতিদান।
যারা আল্লাহর বিধান মেনে নামাজ আদায় করে। আবার জাকাত প্রদান করে। সৎ কাজের আদেশ দেয় এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকে; তাদের যেমন কোনো ভয় নেই। আবার তারা চিন্তিতও হবে না। আল্লাহ তাআলা সে কথা সুস্পষ্ট ভাষায় বর্ণনা করে বলেন-
আয়াতের অনুবাদ
আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ২৭৭ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা পূণ্যাত্মা মুমিন বান্দার শুভ পরিণতির কথা বর্ণনা করেছেন। যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনে সৎ কাজ করবে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করবে এবং জাকাত আদায় করবে। আল্লাহ তাআলাদেরকে অভয় দিয়ে ঘোষণা করেছেন, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।
মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। এ সংক্ষিপ্ত জীবনে মানুষ ঈমানের সহিত নেক কাজ করলে পরকালে তারা সুখ-শান্তি লাভ করবে।
এ আয়াতে ঈমান গ্রহণ করে আমলে সালেহ বা নেক কাজের কথা বলার পর আল্লাহ তাআলা সুস্পষ্টভাবে নামাজ ও জাকাতের কথাও উল্লেখ করেছেন। তা উল্লেখ করার কারণ কী?
কারণ হলো- শারীরিক ইবাদতের জন্য নামাজ হলো শ্রেষ্ঠ। আর আর্থিক ইবাদতের জন্য জাকাত হলো শ্রেষ্ঠ। (রুহুল মাআনি) যারা ঈমান ও নেক আমলের পর নামাজ ও জাকাত আদায় করবে, পরকালীন জীবনে তাদের জন্য কোনো ভয় ও চিন্তা থাকবে না।
পূর্ববর্তী আয়াতে সুদের ভয়াবহ শাস্তি ও ঘৃন্য আলোচনার পর আল্লাহ তাআলা নেক আমলের বর্ণনা করেছেন, যাতে নেককার বান্দারা আল্লাহর পুরস্কার লাভে বেশি বেশি সৎ কাজ করতে পারে। আর পরকালে ভাবনাহীন জীবন লাভে নামাজ ও জাকাতের মর্যাদা অনেক বেশি। এ আয়াতে তা প্রমাণিত।
আল্লাহর প্রতি ঈমান ও নেক আমলের পর নামাজ ও জাকাতের বিধান বাস্তবায়ন মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাওয়াবের কাজ। যে কাজে মুমিন বান্দার জন্য কোনো ভয় ও চিন্তা থাকবে না বলে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপনের পাশাপাশি সৎ কাজ করার তাওফিক দান করুন। নামাজ ও জাকাত বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন। পরকালের ভয় ও চিন্তামুক্ত থাকতে আল্লাহর বিধান সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আরআইপি